Image description
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, তুরস্ক কখনোই সিরিয়ার ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা বিনষ্ট করতে দেবে না এবং দক্ষিণ সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি স্থায়ী হতে দেবে না।

রোববার মুসলিম বিশ্ব ও তুর্কি জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ঈদুল-ফিতরের বার্তায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

তুর্কি প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন, তার সরকার ‘সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক’ নীতির অধীনে যে কার্যক্রম শুরু করেছে, তা অব্যাহত থাকবে। 

এ সময় তিনি বিশেষ করে পিকেকে (PKK) এবং ওয়াইপিজি (YPG)-র বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর কথা বলেন। যারা ইরাকের উত্তরে লুকিয়ে থেকে তুরস্কের সীমান্ত বরাবর একটি সন্ত্রাসী করিডোর গড়ে তুলতে চেয়েছিল।

এরদোগান কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তুরস্কের ধৈর্যের সীমা অসীম নয় এবং তুরস্ক আশা করে যে, সন্ত্রাসী সংগঠন পিকেকে/ওয়াইপিজি অস্ত্র ছেড়ে দেবে এবং বিলুপ্ত হবে।

সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে তুরস্কের অবস্থান

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে পিকেকে ও ওয়াইপিজিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। যারা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) এবং তুরস্কের নিজস্ব তালিকাতেও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত।

দীর্ঘ ৪০ বছরের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে পিকেকে ৪০,০০০-এর বেশি নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। যার মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরাও রয়েছেন।

তুরস্কের দাবি, পিকেকে প্রায়ই ইরাকের উত্তরে লুকিয়ে থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করে এবং ওয়াইপিজি/পিডিও (PYD) সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি সন্ত্রাসী করিডোর গড়ে তুলতে চেয়েছিল।

এরদোগান স্পষ্ট করেছেন, তুরস্ক এই সন্ত্রাসী হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া চালিয়ে যাবে।

গাজায় চলমান হামলার নিন্দা

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এদিন সকালে ইস্তাম্বুলের গ্র্যান্ড চামলিজা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের পর ফিলিস্তিনের চলমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন।

তার ভাষায়, ‘আমরা ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তা দেখছি এবং জানি।’

ইসরাইল গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আকস্মিক বিমান হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত  ৯২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ২,০০০-এর বেশি মানুষ আহত হয়েছে। যার মাধ্যমে দখলদার ও বর্বর ইসরাইল জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।

শুধু তা-ই নয়, গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চালানো ইসরাইলি আগ্রাসনে ৬২,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।এছাড়া আহত হয়েছেন ১,২০,০০০ জনের বেশি।

এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) নভেম্বরে ইসরাইলি  প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন   নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।সূত্র: আনাদোলু