
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আজ রোববার দেশের বিভিন্ন এলাকায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ
সৌদি আরবসহ কয়েকটি মুসলিম দেশের সঙ্গে মিল রেখে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কয়েকটি গ্রামের মানুষজন ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকার শাহ সুফি মমতাজিয়া এতিমখানা ও হেফজখানা মাদ্রাসায় ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়।
শাহ চাঁন্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ একেএম খাইরুল্লাহ জানান, তারা নির্ভরযোগ্য সূত্রে মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে সৌদি আরবসহ অন্যান্য মুসলিম দেশের সঙ্গে একত্রে ঈদ উদযাপন করছেন।

এই ঈদ জামাতে গাজীপুর, কেরানীগঞ্জ ও ডেমরার লোকজনও অংশ নেন। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও আড়াইহাজারের কয়েকটি গ্রামেও একই রীতি অনুসরণ করা হয়। নামাজ শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ ও দেশের শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট
কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের ১২টি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। আজ সকাল ৯টায় এসব গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের জেলেপাড়া গ্রামের ঈদ জামাতের ইমাম শাহীন ইসলাম জানান, প্রতি বছর তারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছেন। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ঈদ জামাতের সভাপতি আকব্দুল সাত্তার বলেন, সৌদি আরব ইসলামের কেন্দ্র এবং সেখানকার রীতি অনুসরণ করা তাদের কর্তব্য।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা জানান, নিরাপদে ঈদ উদযাপন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তারা সতর্ক রয়েছেন।

পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর ৩০ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মোট ৩০টি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বদরপুর দরবার শরীফের সেজ পীর সাহেব আলহাজ্জ মাওলানা আরিফ বিল্লাহ রাব্বানী জানান, তারা প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

চাঁদপুর
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের পাঁচ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। হাজীগঞ্জ সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে তাদের দরবারের মরহুম পীর মাওলানা ইসহাক (রহ.) এই নিয়ম চালু করেছিলেন। হাজীগঞ্জ ছাড়াও ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া ও মতলব উত্তরের বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঈদ উদযাপন করছেন।
ফেনী
ফেনীতে তিনটি পৃথক স্থানে সৌদি আরবের অনুকরণে ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের পূর্ব সুলতানপুর এবং পরশুরাম পৌরসভার কোলাপাড়া ছয়ঘরিয়া এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ফরহাদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্চু জানান, তাদের এলাকায় প্রায় ৫০ বছর ধরে পীর সাহেবের অনুসারীরা সৌদি আরবের অনুকরণে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হাকিম জানান, সেখানেও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।