
আলী আহমেদ মাবরুর
শেখ হাসিনা যেদিন পালিয়ে গেল সেদিন গণভবনসহ বিভিন্ন স্থান ঘুড়ে মোহাম্মাদপুর রিং রোডের একটি ছাদে আমরা কয়েকজন ভাই ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।
প্রচন্ড গোলাগুলির আওয়াজ। কিন্তু কোথা থেকে আসছে বুঝতে পারছিলাম না। হুট করেই ফোন আসলো, আদাবর থানা থেকে পুলিশ গুলি ছুড়ছে। রাস্তায়, বাড়ির ছাদে সবদিকেই তারা গুলি ছুড়ছে। খবরটা পেয়ে আমরা ছাদ থেকে নেমে পাশের গলিতে একটি মসজিদে গিয়ে মাগরিব আদায় করলাম। এরপর আরো কিছুটা সময় সেখানে থেকে আমার গন্তব্যে গেলাম।
শহীদদের ঘটনাবলী পড়তে গিয়ে দেখি, সেদিন হাসিনা চলে যাওয়ার পরও কয়েকটি স্থানে পুলিশ এরকম এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়েছে। এর মধ্যে একটি হলো আদাবর থানা। এর পাশাপাশি, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী থানা, উত্তরা পূর্ব থানা, ঢাকার প্রান্তে সাভারেও থানার ভেতর থেকে পুলিশেরা গুলি ছুড়ে মানুষ মেরেছে।
সেদিন আদাবর থানার পাশেই আমি ছিলাম। আল্লাহ চাননি, তাই হয়তো নসিবে শাহাদাত মিলেনি। কিন্তু ৫ আগষ্ট দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও আমরা মৃত্যুর কতটা কাছাকাছি ছিলাম তা ভাবলে এখনো অস্থিরতা কাজ করে। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে আমি হয়তো নিরাপদে সরে আসতে পেরেছিলাম, আর একই স্থানে থাকা আমারই অন্য কয়েকজন ভাইয়ের জীবনটাই চলে গেলো..