মিয়ানমারের মান্দালয়ে ধসে পড়া একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ আটকে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে রেডক্রস।
রেড ক্রসের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সর্বশেষ তথ্যে মিয়ানমারের জান্তা সরকার জানিয়েছে, শুধুমাত্র মান্দালয়ে দেড় হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মান্দালয়ের একজন উদ্ধারকর্মী বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসকে জানিয়েছেন, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের অধিকাংশ ভবন ধসে পড়েছে। উদ্ধার কাজ শুরু করার সময় সেখানকার দৃশ্য ছিল ভয়াবহ। তিনি ওই সময়ের বর্ণনা করে বলছিলেন মানুষ ‘রাস্তার মধ্যে দৌড়াচ্ছিল, চিৎকার করছিল এবং কাঁদছিল।’
তিনি জানান, জেনারেল হাসপাতাল এখন প্রায় পূর্ণ এবং অনেক রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই উদ্ধারকর্মী আরও বলেন, হাসপাতালটিও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, দিন গড়িয়ে যখন রাত হলো, মানুষ তাদের বাড়ি ফিরতে সাহস পাচ্ছিল না। তারা এতটা ভয় পেয়েছিল। কেউ কেউ রাস্তায় বসে ছিল। ঘুমাতে পারছিল না। তারা তাদের পরিবার, বন্ধু ও আত্মীয়দের চোখের সামনে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখে আতঙ্কিত।
এদিকে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় মিয়ানমারের জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট জোর দিয়ে বলছে যেকোনও সহায়তা যেন স্বাধীনভাবে ও স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
২০২১ সাল থেকে জান্তা দেশটির সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির দুই বড় শহর, মান্দালয় ও ইয়াংগুনের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও বিচ্ছিন্ন।