Image description

ঈদ বাজারে চোরচক্রের তৎপরতা বেড়েছে। কুমিল্লার চান্দিনায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দোকানে চুরির ঘটনা ঘটছে। ওই সব ঘটনা প্রায়ই দোকানির সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লেও এবার হাতেনাতে চোর ধরার অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। 

এক নারী ক্রেতার ব্যাগ থেকে নগদ ৫ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে এক নারীকে বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় কিছু দোকানি।

 
ওই নারীকে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। ভাইরাল ওই ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বাজারের বাবুন চৌধুরী মার্কেটে ওই ঘটনা ঘটে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কালো বোরকা পরিহিত এক নারীকে একটি কাপড় দোকানে নিয়ে চুরির অভিযোগ তুলে যে যেমন পারছেন হেনস্তা করছেন।

 
স্বপন নামের এক ফল ব্যবসায়ী ওই নারীকে একের পর এক কিল-ঘুষি মেরে চুল ধরে টানাটানি করেন। এক পর্যায়ে ওই নারীর নেকাব ও বোরকা খুলে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন। সালাম নামের এক কাপড় ব্যবসায়ী মাঝে এসে মারধর থেকে তাকে রক্ষা করেন। এ সময় ওই নারী সবার উপস্থিতিতে চলে গেলেও কেউ তাকে আটক করেনি বা পুলিশে দেয়নি।
 

 

এদিকে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা করেন নেটিজেনরা। ওই নারীকে প্রকাশ্যে শত শত মানুষের মাঝে এভাবে মারধর ও হেনস্তা করাকে নারী নির্যাতনের শামিল বলে মনে করছেন তারা। ওই নারীকে পুলিশে না দিয়ে মারধর করাকে অমানবিক বলেও দাবি করেন অনেকে।

স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী জানায়, ঘটনাটি মার্কেটে ঘটলেও ঈদের বেচাকেনার মুহূর্তে ওই নারীকে পুলিশে দেওয়া এবং মামলা করাকে ঝামেলা মনে করে কেউ পুলিশে ফোন দেয়নি। কয়েকজন তাকে মারধর করে ছেড়ে দেয়।

 
তবে ওই নারীকে হাতেনাতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

 

চান্দিনা বাজারের ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন, ‘ওই নারী যদি চোরও হয়ে থাকে তাহলেও তাকে এভাবে জনসমক্ষে মারধর করা মোটেও ঠিক হয়নি। তার অপরাধ থাকলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল। যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।’

এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাবেদ উল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি আমাদের নজরে এসেছে। যারাই ওই নারীকে হেনস্তা করেছে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তারা পলাতক রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’