Image description

ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা 'র' (রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং) এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষ করে মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং নিপীড়নের অভিযোগে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশগুলো থেকে দাবি উঠেছে যে, হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির হয়ে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। শুধু ভারতে নয়, বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে সহায়তা করতেও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

এবার মোদির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ যুক্তরাষ্ট্রও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা দিন দিন আরও খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে। একইসঙ্গে, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে 'র'-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

বিশ্লেষকদের মতে, এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় ওয়াশিংটন ভারতের প্রতি সহানুভূতিশীল থেকেছে, ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো উপেক্ষিত হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়িয়েছে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক শিক নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে সাবেক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা বিকাশ যাদব জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, তবে পশ্চিমা বিশ্বে এ নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে কমিশন বলেছে, ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা এবং বৈষম্য ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, যার ফলে ২০২৪ সালে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার দল বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে মোদি মুসলমানদের "অনুপ্রবেশকারী" বলে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন, তারা অধিক হারে সন্তান গ্রহণ করছে।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি 'র'-এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, তাহলে দেশ ও বিদেশে মোদি সরকারের ওপর চাপ আরও বাড়বে।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=cuoYehNUCJk