
-- নেত্রনিউজ অনলাইন প্রথম আয়নাঘরের অস্তিত্ব জানিয়ে দেয়ার জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসের পার্ট হয়ে থাকবে। এর সম্পাদক তাসনিম খলিল গোয়েন্দাসংস্থা ডিজিএফআই-এর হাতে নির্যাতিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি দেশত্যাগ করে সুইডেন প্রবাসী। সেখান থেকেই তিনি নেত্রনিউজ সাইটটা চালান।
--বিপ্লবের পর থেকেই, বিশেষ করে আয়নাঘর পরিদর্শনের পর থেকে তাসনিম খলিলের ফেইজবুক স্ট্যাটাসগুলো বেশ আগ্রহভরেই পড়তাম। কেন জানি, খটকা লাগতো। যেমন 'জেনারেল ওয়াকার ছাড়া" চলবেই না, এমন একটা ইঙ্গিত থাকে তাঁর লেখাগুলোতে ।
-- আজকে দেখছি, উনার পত্রিকাই শুধু সেনাসদরের "বিবৃতি" প্রকাশ পায়। নেত্রনিউজের খবরটা খেয়াল করেন, এটা কিন্তু পুরো অনুসন্ধানি নিউজও না, আবার সেনাসদরের "বিবৃতিও" না । সরাসরি সেনাসদের বিবৃতি হলে বাকি মিডিয়াগুলোতে সেটা পাঠানো হয় নাই কেন? নেত্রনিউজ নিশ্চয় সেনাপ্রধান না সেনাসদরের মুখপাত্র নয় !
-- অপরদিকে এটা নেত্রনিউজের নিজস্ব অনুসন্ধানী রিপোর্ট হলে, বার বার " সেনাসদরের বিবৃতি" লেখা হয়েছে কেন? পুরো রিপোর্টাই সেনাসদরের বিবৃতির সাথে নিজস্ব বয়ান জুড়ে একটা খিচুড়ি বানানোর হেতু কি?
-- আজকের নেত্রনিউজের খবর এবং আয়নাঘর পরিদর্শন পরবর্তি তাসনিম খিলিলের ষ্টাটাসগুলোর একটা যোগসুত্র তো খুঁজে পাওয়া যায় বৈকি !
-- জনাব তাসনিম খলিলকে বিনে পয়সার একটা পরামর্শ দেই। আপনি কুখ্যাত আয়নাঘরকে উন্মোচন করে নেত্রনিউজকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, সেখানেই থাকেন। এক্সক্লুসিভ নিউজের আড়ালে সেনাসদর বা কচুক্ষেতের বিবৃতি প্রচার করে দয়াকরে নেত্রনিউজের সম্মানহানি করিয়েন না। না হলে এই নিউজসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা নামতে সময় লাগবে না ।
মোকাররম হোসেন