Image description

Imrul Hasan (ইমরুল হাসান)


 
১. আওমি-লিগের ৩০% ভোট আছে, তাদেরকে রাজনীতি করতে হবে… তো, আওমি-লিগের ৩০% ভোট আছে - এইটা কই থিকা বলে? এর রেফারেন্স কি?
যদি ২০২৪’র ইলেকশনও দেখেন, ১০% ভোটও তো কাস্ট হয় নাই, তাইলে ৩০% সমর্থনের কথা কই থিকা আসে?
আসে, মিডিয়ার বদমাইশগুলার কাছ থিকা…
আওমি-লিগের মোটেও ৩০% ভোট নাই, বরং সরকারি অফিসগুলাতে, পুলিশ-মিলিটারি-মিডিয়াতে ডিসিশান মেকিং জায়গাগুলাতে ৯০% আওমি-লিগের লোকজন বইসা আছে! অই কালপ্রিটগুলারে সরাইতে হবে, ইমিডিয়েটলি!
 
২. সেকেন্ড যুক্তি হইতেছে, আওমি-লিগ না থাকলে ইলেকশন ইনক্লুসিভ হবে না, বিদেশি শক্তি (আসলে ইনডিয়া) মানবে না, অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারে… তো, বাংলাদেশের মানুশের এই কথা বলতে পারা উচিত যে, বিদেশি শক্তি cdi!
যেই বিদেশি শক্তির জুজু দেখানো হইতেছে, তারা আসলে বাংলাদেশ-বিরোধি শক্তি! তারা যদি অখুশি হয়, তার মানে বাংলাদেশ ঠিক পথে আছে আসলে! একটা পিপল আপরাইজিংয়ের ভিতর দিয়া যেই দলটারে ক্ষমতা থিকা নামানো হইছে, তার বিচার না হওয়াটারে বরং তারা কেমনে সার্পোট করে? আর সবচে জরুরি বিষয় হইতেছে, কারা চাইতেছে? কেন চাইতেছে? সেই পাবলিক ডকুমেন্ট কই?
যেহেতু নাই, এই কারনে সন্দেহ করার যথেষ্ঠ কারন আছে যে, এইগুলা মোস্টলি ভাওতাবাজি; যদি তা না-ও হয়, নিজেদের দেশের বেপারে ডিসিশান নেয়ার অধিকার বাংলাদেশের মানুশের, বাংলাদেশের পলিটিকাল দলগুলার এবং ইন্সিটিটিউশনগুলারই আছে, কোন ‘বিদেশি শক্তির’ সেই এখতিয়ার নাই কখনোই!
 
৩. লাস্টলি, একটা বড় বিরোধি-দল না থাকলে ডেমোক্রেসি ফাংশন করবে না… এইটা আমি দেখি যে, পুরান পলিটিকাল বেইজের সমস্যা, যেইখান থিকা তারা মনে করেন নতুন ধরনের কোন রাজনীতি বাংলাদেশে পসিবল না, দুনিয়াতে খালি বিএনপি আর আওমি-লিগই আছে! আর যেহেতু আওমি-লিগ নাই, সব ভোট বিএনপি-ই পাবে! এইটা ফান্ডামেন্টালি খুবই ভুল চিন্তা! এবং এই জায়গা থিকাই বাকি সব ভুল-চিন্তাগুলা তৈরি হইতেছে!
আগে ভোট দিয়া দেখেন! এইজন্যই বলছি আগে সিটি করপোরেশনের ইলেকশন দেন, লোকাল গবমেন্ট ইলেকশন দেন, ভার্সিটিগুলাতে ছাত্র-সংসদ ইলেকশন দেন, দেখেন, মানুশ-জন কারে ভোট দেয়! বিএনপি ৫০%’র বেশি ভোট পাওয়ার কথা না… অনেক ইন্ডিপেন্ডেড কেন্ডিডেট জিতবে, এনসিপি, জামাত, অন্য দলগুলা মিইলা একটা বিরোধি-জোট তৈরি হওয়াটা খুবই পসিবল! মানে, নতুন পলিটিকস তো তৈরি হবে!
 
পিপলের উপর ভরসা রাখেন!
বাংলাদেশের মানুশ ভোটের সময় কখনোই ভুল করে নাই, বরং পলিটিকাল দলগুলা ভোটের পরে পিপলের লগে বেইমানি করছে! সেই বেইমানি যাতে করতে না পারে, সেইটা রাস্তা তৈরি করতে হবে!
আওমি-লিগরে ফিরায়া নিয়া আসাটা কোন অপশন না! বরং অই রাস্তাটাই বন্ধ করার জন্য পাওয়ার-এজেন্সির লোকজন যে মরিয়া হয়া উঠছে, সেইটা খেয়াল করতে পারতে হবে আমাদেরকে!