Image description

বাংলাদেশের নেতা, আবার ভারতের ভুতুড়ে ভোটার! বাংলাদেশের জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, কিন্তু ভারতে রয়েছে কোটি টাকার সম্পত্তি। বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়েই ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমায় ঘাঁটি গেড়েছেন বাংলাদেশের জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা জেলার নেতা অজয় কুমার বকসী।

বনগাঁ থানার মতিগঞ্জ এলাকার ভোটার তালিকায় রয়েছে তার নাম। খুলনার জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভোটেও দাঁড়িয়ে ছিলেন এই অজয় কুমার বকসী।

উত্তর ২৪ পরগনার স্থানীয়দের সূত্রে খবর, খুলনার এই বাসিন্দা আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ হিসেবেই বিভিন্ন সময়ে পরিচয় দিয়েছিলেন ভারতে। সময় সময় নামে-বেনামে ভারতে কিনেছেন কোটি টাকার সম্পত্তি।

সম্প্রতি গোটা বিষয় ফাঁস করেছেন এই নেতার ভাই সঞ্জয় বকসী। ভোটার তালিকা সংশোধনের বিষয়টি নিয়ে যখন রাজ্যে ভুতুড়ে ভোটার ধরতে সরব হয়েছে শাসক দল ও বিরোধীরা, সে সময় বড় ভাইয়ের এমন কীর্তি ফাঁস করেতে থানার দারস্ত হয়েছে সঞ্জয় বকসী।

সঞ্জয় বকসীর দাবি, যৌথ বসতবাড়ি থেকে দাদা অজয় কুমার বকসী তাকে উৎখাত করতে চাইছেন। এজন্য তার পরিবারের ওপর বেশ কিছুদিন ধরেই শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করছেন তার ভাই অজয় কুমার বকসী। আর এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেয়া নিয়ে তর্ক শুরু হয়েছে বনগাঁর স্থানীয় স্তরে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে।

বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবেশ মন্ডল বলেন, ওপার বাংলা থেকে এসে যারা জমি কিনছে, তাদের ওপারেও ভোট আছে, এপারেও ভোট আছে। এরা তৃণমূলের ভোট ব্যাংক।

পাল্টা বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বললেন, এই ভোটগুলো বিজেপি তৈরি করে রেখেছে। আমরা ইতোমধ্যে তালিকা তৈরি করে এসডিও, বিডিও ও ডিএম-কে পাঠিয়েছি। এই ভোটারগুলো ধরার কারণে বিজেপির মাথাব্যথা শুরু হয়েছে। এই ভোটগুলো বিজেপি তৈরি করে রেখেছিল।

রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ির মাঝেও দুইপক্ষের আশা, প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে অজয় বকসীকে।

ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ও লোকসভায় সরব হয়েছেন। ভুতুড়ে ভোটার চিহ্নিত করতে একইভাবে দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

ভুতুড়ে ভোটার বন্ধ করতে ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে সাধারণ ভোটারদের ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোজন করার প্রস্তাবও দিয়েছেন। কিন্তু তারও আগে পশ্চিমবঙ্গের ভাষা সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের অনেক রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছেন চোরাপথে। এখন দেখার বিষয় প্রশাসন কীভাবে এগুলো মোকাবিলা করবেন।