
গাজাবাসীর ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওস্থ জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ নিন্দা জানানো হয়।
সভায় নেতারা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজার বাসিন্দারা যখন গভীর ঘুমে, যখন কেউ কেউ পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে, ঠিক সেই সময় যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর বিমান হামলায় ৯৮০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছেন। এ ভয়াবহ গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে ১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, গাজায় খাদ্য ও ওষুধের ওপর চলমান অবরোধের মধ্যেই বিশ্ব শান্তির বিষফোড়া ইঙ্গ-মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি এ হামলা পরিচালনা করেছে। এ হামলা অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের ধারাবাহিকতা’ মাত্র।
তারা আরও বলেন, গাজায় ইসরাইলের এই হামলাগুলো বিশ্বে অস্থিতিশীলতা বয়ে আনতে পারে। নেতানিয়াহুর সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে মানবতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। এ হামলা প্রমাণ করে, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল আবারও গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। যারা আগে থেকেই সহায়-সম্বল ও স্বজন হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। আজ আবারও বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল তাদের দুঃখ-দুর্দশাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী পুনরায় যুদ্ধ শুরুর ঘোষণা দিয়ে এ হামলা চালিয়ে নিজেদের জঙ্গি মনোভাবই প্রকাশ করলো। পবিত্র রমজান মাসেও মনুষ্যত্ব ভূলুণ্ঠিত করে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে এ সন্ত্রাসী বাহিনী। এ হামলা ও আক্রমণ করে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরাসরি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে; যা গুরুতর অপরাধের শামিল।
‘দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং বাংলাদেশ সরকারকেও এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান এবং মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ঐক্য ও সংহতি প্রকাশ করেন ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ।
সভায় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা র)সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমসহ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নওয়াব আলী আব্বাস খান, কাজী নাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর সভাপতি ফারুক উমর উপস্থিত ছিলেন।