
ক্ষমতার পালাবদলে আবারও আগের নাম ফিরে পেয়েছে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থল ‘জিয়া উদ্যান’।
এর আগে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই উদ্যানের নাম পরিবর্তন করে চন্দ্রিমা উদ্যান রাখা হয়েছিল। তবে ২০০১ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে এটি আবার ‘জিয়া উদ্যান’ নামে পরিচিত হলো।
সম্প্রতি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে সরকারের এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নায়লা আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১২.৩ অনুচ্ছেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শেরে বাংলা নগর, ঢাকায় অবস্থিত ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘জিয়া উদ্যান’ পুনর্বহাল করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনটি গত ১১ মার্চ জারি করা হলেও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে এখন জানা গেছে। বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলার সময় নায়লা আহমেদ বলেন, ‘‘‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ নামের পরিবর্তে ‘জিয়া উদ্যান’ নাম পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।’’
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এটি নামকরণ করেছিলেন ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’। পরে, বিএনপির শাসনামলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধির স্থান হওয়ায় এটি ‘জিয়া উদ্যান’ নামে পরিচিত হয়ে উঠে। তবে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এটি নাম পরিবর্তন করে ‘চন্দ্রিমা উদ্যান’ রাখা হয়। যদিও সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয়দের মনে এটি এখনও ‘জিয়া উদ্যান’ হিসেবেই পরিচিত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তে নাম পুনর্বহাল করার মাধ্যমে জনগণের আবেগ ও অনুভূতিকে সম্মান জানানো হয়েছে, এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’’
জিয়া উদ্যান ঢাকার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনীয় স্থান। ৭৪ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এই উদ্যানের কেন্দ্রে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি অবস্থিত। এখানে একটি মাজার কমপ্লেক্সও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ জিয়ারত করতে আসেন।আস