Image description
 

টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্হীদের জোড় ইজতেমা করতে না দেওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ডিসেম্বর ভোররাতে ইজতেমা ময়দানে হামলা ও সংঘর্ষে ৪ মুসুল্লি নিহত ও শতাধিক আহতের ঘটনার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাদপন্হীদের শীর্ষ মুরুব্বি ও মুখপাত্র মুফতি মুয়াজ বিন নূর গাজীপুর জেল হাজত থেকে বুধবার (৫ মার্চ) রাতে মুক্তি পেয়েছেেন।

হামলা সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের ঘটনার পর পুলিশ তাকে উত্তরার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছিল। এদিকে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে হামলা সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় সাদপন্হীদের শীর্ষ মুরুব্বিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে সাদপন্হী মুরুব্বিরা দাবি করেছেন। সাদপন্হী মুরুব্বিরা বলছেন, নাম ধরে দায়ের করা মামলার কেউই হামলা বা সংঘর্ষে অংশ নেননি।

উল্লেখ করা যেতে পারে, তাবলীগ জামাতের শুরায়ে নেজাম ও সাদপন্হী নামে দুটি গ্রুপ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে দুবার সংঘর্ষে জড়ায় এতে দুবারে ৬ জন নিহত ও হাজার মুসল্লী আহত হন। তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপই নিজেদের আদি ও আসল দাবি করে তাবলীগ জামাতের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে সংঘাতে জড়ায়। বিবাদমান দুটি গ্রুপ এখনও মারমুখী অবস্থানে রয়েছেন।

 

জেল হাজত থেকে মুক্তির আগে হাইকোর্ট তাকে জামিনে মুক্তি দেয়। সাদপন্হীদের অন্যতম মিডিয়া মুখপাত্র মোহাম্মদ সায়েম তাদের ইজতেমা ভেরিফায়েড পেইজের পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন শুরায়ে নেজামের মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকশ’ জনকে আসামি করা হয়। 

 

আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। আসামিরা সবাই সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। আসামিরা সবাই হাইকোর্টের অন্তবর্তী জামিনে আছেন।