ভূপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ৫০০ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রায় ৭ হাজার স্যাটেলাইট স্টারলিংক। এগুলোর মাধ্যমে বাসাবাড়ি, অফিস কিংবা দুর্গম পাহাড়ে সরাসরি ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান। একটি স্টারলিংক কিট বা অ্যান্টেনার মাধ্যমে সেকেন্ডে সবোর্চ্চ ২২০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সুবিধা পান গ্রাহকরা।
সম্প্রতি স্পেসএক্সের কর্ণধারের সঙ্গে ফোনালাপ এবং সবশেষ গেল ১৯ ফেব্রুয়ারি পাঠানো চিঠিতে ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালুর প্রস্তাব দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সেই লক্ষ্যে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে বিটিআরসি। যেখানে লাইসেন্স আবেদন ফি ৫ লাখ টাকা, রাজস্ব ভাগাভাগি সাড়ে ৫ শতাংশ রাখা হচ্ছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে বিটিআরসি এবং নিরাপত্তা সংস্থার শর্ত মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে স্টারলিংককে। দেশে আর্থস্টেশন স্থাপন, আইআইজি প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যান্ডউইথ কেনার শর্তও রাখছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী গণমাধ্যমকে বলেন,
মন্ত্রণালয়ে আমরা একটা গাইডলাইন পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করে আবার আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে। সেটা হয়ত এ সপ্তাহেই পাঠিয়ে দেবো। সরকার অনুমোদন দিলে লাইসেন্স নিতে পারবো।
স্টারলিংকের পরিষেবা পেতে কিট কিনতে হবে গ্রাহকদের, যার দাম ৪১ হাজার ৮৮০ টাকা থেকে ৭১ হাজার ৮৮০ টাকা। এছাড়াও আবাসিকে মাসিক ফি সর্বনিম্ন ১২০ ডলার বা প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টাকা। বিপরীতে বর্তমানে মাত্র ৫০০ টাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পান দেশীয় গ্রাহকরা। এরপরও স্থানীয় সেবাদাতাদের সুরক্ষার দাবি সংশ্লিষ্টদের।
আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইআইজিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম সময় সংবাদকে বলেন,
আমরা যে পরিমাণে ভ্যাট দিচ্ছি, স্টারলিংকেও সেই পরিমাণ ভ্যাট দিতে হবে। আমরা যেভাবে লক সার্ভার মেইনটেন করছি, যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চাওয়া মাত্র দিতে বাধ্য থাকছি, স্টারলিংকের জন্যও সেই পলিসি থাকা উচিত।
বর্তমানে বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে স্টারলিংক।