Image description
নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি

 রোজার মাসে খাবারের জন্য আকবর হোসেনের বাজেট ১২ হাজার টাকা। পাঁচ দিনের বাজার করতে গিয়ে তিনি দেখেন, মাছ কিনলে মুরগি কেনা যায় না, মুরগি কিনলে মাছ বাদ দিতে হয়। গরুর মাংস তো বিলাসী খাবার, তাই সে দোকানে নজরই দেননি তিনি। পাঁচ দিনের মধ্যে তিন দিনই তার পরিবারকে মাছ-মাংসের মতো প্রোটিন খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। আর ইফতারিতে উচ্চ মূল্যের বিদেশি ফল বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত তিনি আগেই নিয়েছেন। শুধু শরিফুলই নন, বাজার করতে আসা নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন আয়ের সব ভোক্তারই একই গল্প।

তারা বলছেন, গত কয়েক বছর থেকে ধারাবাহিকভাবে পণ্যের দাম বাড়ায় রমজানে খাবারে কাটছাঁট করতে হচ্ছে তাদের। রমজান মাস সামনে রেখেই প্রতি বছর অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়ায়। সেই আশঙ্কা থেকেই এবার রমজানের আগের তিন মাসে আমদানি বাড়িয়েছে সরকার, যাতে রমজানে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব না হয়। এতে গত বছরের তুলনায় রমজানকেন্দ্রিক প্রয়োজনীয় ৯ পণ্যের আমদানি বেড়েছে ২০ থেকে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত। তথ্য বলছে, সরকারের এমন উদ্যোগের মধ্যেও গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১২-১৫ শতাংশ।

বিশেষ করে, ফলের দাম বেড়েছে প্রায় ২০-২৫ শতাংশ। এতে সেহরির খাবার তালিকা থেকে যেমন বাদ দিতে হচ্ছে মাছ-মাংস, তেমনি ইফতারিতে বাদ দিতে হচ্ছে বিদেশি ফল। হিসাব করে দেখা যায়, মাছ-মাংস বাদ দিয়েই সেহরিতে একজনের খাবার খরচ পড়ে ৫৫-৬০ টাকা। এতে চারজনের একটি পরিবারের দিনে লাগে ২২০ টাকা। সন্ধ্যা রাতে খাবারে কাটছাঁট করে খরচ ১৫০ টাকা, আর ইফতারিতে ফল যোগ না করে গড়ে যদি ১২০ টাকা খরচ করা হয়, তবে মাসে চারজনের পরিবারে ব্যয় হবে প্রায় ১৪ হাজার ৭০০ টাকা। মাছ-মাংস যোগ হলে সেহরিতে ন্যূনতম ৩৫০, রাতের খাবারে ৩০০ ও ইফতারিতে ফল যোগ করে গড়ে ২৫০ টাকা খরচ করলে মাসে খরচ হবে প্রায় ২৭ হাজার টাকা।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ২০২৩ সালের অক্টোবরের হিসাবে বলা হয়েছে, চারজনের একটি পরিবারে খাবার তালিকায় মাছ-মাংস যোগ করলে মাসে খরচ হবে ২২ হাজার ৪২১ টাকা। যদি কোনো পরিবার মাছ-মাংস যোগ না করেন তাতে মাসিক খরচ দাঁড়ায় ৯ হাজার ৫৯ টাকা। গত দেড় বছরে পণ্যের মূল্য গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। সে হিসাবে মাছ, মাংস ছাড়া বর্তমানে খরচ দাঁড়ানোর কথা সাড়ে ১০ হাজার এবং মাছ-মাংসসহ ২৫ হাজার ৭৮৪ টাকা। কিন্তু রজমানে খাবারের তালিকায় কিছু পরিবর্তন হওয়ার কারণে প্রতিবছরই খাবারের খরচ এই মাসে বাড়ে। সিপিডির ২০২৩ সালের অক্টোবরের হিসাবই যদি ধরা হয়, তাহলে এবারের রোজায় খাবারের তালিকা ছোট না করে উপায় নেই ভোক্তাদের। ২২ হাজার টাকার সঙ্গে যদি বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল ও অন্যান্য খরচসহ গড়ে ১৫-১৮ হাজার টাকা ধরলে চারজনের একটি পরিবারের খরচ দাঁড়ায় ৩৭-৪০ হাজার টাকা। সিপিডির তথ্য প্রকাশের সময় মুরগির মাংসের কেজি ছিল ১৫০ টাকা, যা এখন ১৯০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে; গরুর মাংসের কেজি ছিল ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, যা এখন ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা; চিনির দাম ছিল ৯৮ টাকা, যা এখন ১২৫ টাকা। অর্থাৎ সব পণ্যের দামই বেড়েছে গত দেড় বছরে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন কালবেলাকে বলেন, পণ্য গত বছরের চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে, এটা সত্য। কিন্তু পণ্য বেশি আমদানি হলেই তো হবে না, যদি সারা দেশে সঠিকভাবে সেটি ডিস্ট্রিবিউশন করা না যায়। রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বর্তমানে আমাদের সাপ্লাই চেনে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে। পণ্য আমদানি করে যদি মানুষের কাছে সেটি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা না যায় তাহলে সিন্ডিকেট তৈরি হবে এবং পণ্যের দামে নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হবে না। অর্থাৎ মাদার জাহাজ থেকে লাইটারে আসা এরপর লাইটার থেকে পণ্য খালাস এরপর বাজারে ডিস্ট্রিবিউশন—এ বিষয়গুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু সিন্ডিকেট যারা করেন তারা এসব জায়গাতেই জ্যাম তৈরি করে পণ্যের সংকট তৈরি করে দেন।

নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের কারণে বিপাকে রয়েছে। তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা। বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার উচ্চ মূল্যের চাপে পিষ্ট। সরকারের পক্ষ থেকে আমদানি বাড়ানো হয়েছে—এই বক্তব্য দিয়েই শেষ। নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এক কথায়, সরকার এ বিষয়টিকে প্রায়োরিটি দিচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে। গবেষণা সংস্থা চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি কালবেলাকে বলেন, রমজান শুরুর প্রাক্কালে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যেভাবে দাম বাড়ানো হয় এবার রমজানে তেমনটা মনে হচ্ছে না। তবে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করায় এতে ইতিবাচক ভূমিকা ফেলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করতে হবে। সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রির (টিসিবি) স্টল ও পণ্যসামগ্রী বাড়াতে হবে। পুরো রমজান মাসে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা কোনোরূপ বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। এ ছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খাদ্য মূল্যস্ফীতি যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনতে হবে।

নিত্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে ২০-৮৫ শতাংশ: বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, গত চার মাসে চিনি আমদানি হয়েছে ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ টন। এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। এ সময়ে সয়াবিন তেলের আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ টন। ডাল জাতীয় পণ্যের আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ টন। এ ছাড়াও ছোলা আমদানি হয়েছে ৯৭ হাজার ৫৫৫ টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি। খেজুরের আমদানি ২৩ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৪২০ টন। আলোচ্য সময়ে সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ আমদানি বেড়েছে মটর ডালের, আমদানি হয়েছে ২ লাখ ২ হাজার ৮৪৫ টন। দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার পরও এই চার মাসে পণ্যটির আমদানি ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ টন। এ সময়ে রসুনের আমদানি ২০ শতাংশ বেড়েছে, আমদানি হয়েছে ৬১ হাজার ৩৮১ টন। আদার আমদানি ৫৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫২ হাজার ৫১৫ টন। মধ্যবিত্তের পরিবার চলছে যেভাবে: কয়েকজন ভোক্তার সঙ্গে কথা হয় কালবেলার।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মোহাম্মদ শাকিল আহমেদ রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় তিন কামরার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। তার মাসিক খরচ ৩৭-৪০ হাজার টাকা। এর মধ্যে শুধু মাত্র বাসা ভাড়ায় খরচ হয় ২২ হাজার টাকা। একমাত্র সন্তানের পড়া ও পরিবারের ভরণপোষণে খরচ হয় আরও ১৩-১৫ হাজার টাকা। অন্যান্য খরচ আরও ২-৩ হাজার টাকা। তবে এই শিক্ষকের মাসিক আয় ৩৫ হাজার টাকা। সে হিসাবে মাসে তার আয়ের চেয়ে বাড়তি ২-৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এই বাড়তি অর্থের জোগান আসে তার গ্রামের বাড়িতে থাকা কৃষিপণ্য বিক্রি করে, যে অর্থ আগে সঞ্চয় হিসেবে ব্যাংকে জমা হতো। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলাম কারওয়ান বাজারে। ভাবলাম রোজার বাজার করেই বাসায় ফিরি। তবে বাজারে ঢুকে চিন্তায় পড়ে গেলাম।’ ব্যাগ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘১ কেজি করে মুরগি, মাছ, ছোলাসহ আরও দু-একটি পণ্য কিনতেই ১৫০০ টাকা শেষ। দামের অবস্থা দেখে বোঝা যাচ্ছে চাহিদামতো বাকি সদাইগুলো বাসায় নিয়ে যেতে পারব না।’ শুধু শাকিল আহমেদই নন, গত কয়েক মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মধ্য ও নিম্নমধ্য আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে নিত্যপণ্যের বাজার। গরিবের মাছ বলে খ্যাত পাঙাশ, তেলাপিয়াও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা কেজি। প্রকার ভেদে অন্যান্য মাছও বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৭০০ টাকা কেজিতে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব বলছে, জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশে, যা ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। ফলের দাম: বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার আঙুর প্রতি কেজিতে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০, ২৪০ টাকার মাল্টা প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়, গত বছরের ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার আপেল প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০, গত বছরের তুলনায় নাশপাতি প্রতি কেজি ২০ টাকা বেড়ে ৩৬০। তবে বড় আনার প্রতি কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতি হালি সবরি কলা ২৫, ছোট সাগরকলা ২০ এবং বড় সাগরকলা ৩৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংস ও মুদি বাজার: গত বছরের মতো বাজারভেদে গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছর ১ হাজার টাকায় খাসির মাংস পাওয়া গেলেও চলতি বছর প্রতি কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমান বাজারে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে এ পণ্যটি। অপরিবর্তিত ২০০ থেকে ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। গত বছরের তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা সোনালি মুরগির দাম বেড়ে বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৪০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকায়। গত বছরের ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। বাজারভেদে কেউ কেউ ৫ টাকা বেশিও বিক্রি করছে।

গত বছরের ১০০ থেকে ১০৫ টাকার ছোলার দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। গত বছরের ১১৫ থেকে ১২০ টাকার খেসারি কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি মুড়ির মূল্য ৭০ থেকে ৮০ টাকা। গত বছর রেকর্ড ১৪৫ থেকে ১৪৮ টাকায় প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কমে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩২ টাকা দরে। গত বছর বাজারে পেঁয়াজ মানভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং আদা ও রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। তবে চলতি বছর পেঁয়াজের দাম অর্ধেক কমলেও বেড়েছে আমদানি করা আদা ও রসুনের দাম। বর্তমান বাজারে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০, আমদানি আদা ২০০ থেকে ২২০ ও রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৭৪ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগে ১৭০ থেকে ১৭৩ টাকা এবং এক মাস আগে ছিল ১৬৩ থেকে ১৬৬ টাকা। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়েনি। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৮৫০ থেকে ৮৫২ টাকা, ২ লিটার ৩৪৫ থেকে ৩৫০ টাকা ও ১ লিটার ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চড়া চালের দাম: বাজারে এখন চালের দাম বেশ চড়া। বাজারে মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চাল কিনতে প্রতি কেজিতে দাম দিতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। সরু চালের দাম গত এক মাসে কেজিতে ৫ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। বেড়েছে মোটা ও মাঝারি চালের দামও। বর্তমানে এক কেজি মোটা চাল ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর মাঝারি ধরনের ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চালের দাম রাখা হচ্ছে ৬০-৬৬ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০-৮৪ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬-১১৮ টাকায়।