Image description
 

সাতক্ষীরায় স্বামীকে হত্যার পর গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ (৪৫) ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমিন (৩০)। আবুল কালাম আজাদ কলারোয়া থানার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা এবং একজন কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

 

স্থানীয়রা জানান, আবুল কালাম আজাদের দুই স্ত্রী ছিল। তবে বড় স্ত্রী শারমিনের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল না। দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমিন একসঙ্গে বসবাসের দাবি জানিয়ে বড় বউ শারমিনকে ফোন করেন। কিন্তু শারমিন রাজি না হওয়ায় ক্ষোভ থেকেই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার হয়। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘আমি সব কিছু শেষ করে দিলাম। আমি ২টা ৩১ মিনিটে মারছি, এবার আমিও মরছি। একা হলেও বাঁচব না, কারণ শারমিন ও তার পরিবার আমাকে শেষ করে দেবে। তাই আমরা দুইজন মরে গেলাম। এবার তোমরা সংসার কর ভালো করে। আর কেউ বিরক্ত করবে না। আমার ছেলে কষ্ট পাবে, তারপরও কালামের জন্য আমি সবাইকে কষ্ট দিলাম। তবুও সে আমাকে কষ্ট দিল, শয়তান একটা।

 
 

নাজমিন স্বামীকে হত্যার পর তার বুকের ওপর কলম দিয়ে লিখেন, ‘স্যরি জান, আই লাভ ইউ’।

 

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমি নিজেও যাচ্ছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।