Image description

Shafin Rahman শাফিন রহমান

 
যারা আমার বন্ধু তালিকায় রয়েছেন বা আমাকে ফলো করেন তারা নিশ্চয়ই জানবেন, কিছুদিন আগে আমি আমার একটি পোস্টে বলেছিলাম বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের জন্য বড় একটি চমক আসছে এবং সেটি হলো রাডার ইন্টিগ্রেশন এন্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। চলতি বছরের মে মাসের মধ্যেই এয়ারফোর্সের জন্য শক্তিশালী ঐ রাডার ইন্টিগ্রেট করা হবে।
এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের এই টোটাল সেটাপ কেনার টেন্ডার ছাড়া হয় 2018 সালে এবং 2019 এর শুরুর দিকে গভর্মেন্ট টু গভর্মেন্ট ডিল হয়।
জি2জি ডিল হওয়ায় সেটাপ ডেলিভারি পাওয়ার পর এটার ইনস্টলেশন কোথায় হবে তা আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। যেহেতু এটা খুবই সফিস্টিকেটেড ওয়েপন তাই স্ট্রাটেজিক্যাল, টেকনিক্যাল এন্ড জিওগ্রাফিক্যাল এডভেন্টেজকে মাথায় রেখে কক্সবাজারকে বিবেচনা করা হয়। তবে রাডার, মিসাইল লঞ্চ পড, কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম সহ অন্যান্য ভেহিক্যাল দ্বারা সেটাপ ইনস্টল করতে অনেকটা জায়গা প্রয়োজন; যা কক্সবাজার এয়ারফোর্স বেসের ছিল না। তাই বিমানবাহিনী রানওয়ে এক্সটেনশন সহ বিভিন্ন ওয়েপন্স সেটাপের জন্য অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সরকারকে অফিসিয়ালি জানায়।
তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এয়ারফোর্স বেস সংলগ্ন সমিতিপাড়া সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের জমি অধিগ্রহনের গেজেট প্রকাশ করে। অতঃপর স্থানীয়দের সাথে কয়েক দফা বৈঠকের পর তাদেরকে জমির সেসময়কার মূল্য অনুযায়ী নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে গ্রামবাসী বেশিই লাভবান হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যেই প্রত্যেককে তার পাওনা বুঝিয়ে দেয় সিভিল এডমিনস্ট্রেশন।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে এতদিন পর বিষয়টি কিভাবে লাইমলাইটে আসলো?
খেয়াল করুন, ডিল হয়েছিল 2019 সালে, গ্রামবাসী তাদের পাওনা বুঝে পায় পরবর্তী বছর শেষ হওয়ার আগেই। তবুও 2022 এর শেষদিকে একবার, 2023 এর জুনে দ্বিতীয়বার এবং একই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর তৃতীয়বারের মত গ্রামবাসীর সাথে টুকটাক বাকবিতন্ডা হয়।
কেনো হয়?
এটা হওয়ার মূল কারন ছিল এয়ারফোর্সের তার সেটাপ ডেলিভারি পেতে দেরি হওয়া। কারন খুবই ধীরগতিতে কাজ চলছিল, তাই এয়ারফোর্স জায়গাটার উপর পরিপূর্ন করায়ত্ত প্রতিষ্ঠা করতে পারছিল না। জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় অনেকেই আবার বসবাস শুরু করে এবং এই ঘটনাপ্রবাহের সর্বশেষ রিয়্যাকশন হয় হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে গত জানুয়ারি মাসে।
বাংলাদেশের যেসব জায়গাতে এয়ারফোর্স বেস রয়েছে, তার প্রত্যেকটির দায়িত্বে থাকে একটি সিভিলিয়ান গ্রূপ; তারা মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্সের আন্ডারে কাজ করে। তাদেরকে বলা হয় MODc
গতকাল জানুয়ারি মাসে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির উস্কানিতে একদল লোক দিয়ে এয়ারফোর্স বেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা MODc এর এক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং বিশ্ৰী ভাষায় গালাগালি করে।
আপনাকে বুঝতে হবে, এয়ারফোর্স বেসের নিরাপত্তা কর্মীর উপর হামলা মানে এয়ারবেসের উপর হামলা। কিন্তু সেই ঘটনা মিডিয়াতেই আসেনি। কেনো আসেনি? কারন এয়ারফোর্স নিজেই আসতে দেয়নি।
এয়ারফোর্সের ইন্টিলিজেন্স উইং খোঁজ শুরু করে কাদের উস্কানিতে এই সমস্ত লোকজন একটি মীমাংসিত বিষয়কে নতুনভাবে উত্থাপনের মাধ্যমে বিশঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে?
সম্প্রতি তারা সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে পায় এবং গতকাল/গতপরশু তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এয়ারবেসে নিয়ে যায়। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নির্দিষ্ট পলিটিক্যাল ওরিয়েন্টেশন আছে এবং সে ঝামেলা তৈরির জন্য বির্তকিত জমির মালিকদের গোপনে একত্রিত করে। যেসব জমির মিউটেশনে সমস্যা কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন নয় অর্থাৎ যেসব জমির একাধিক স্টেকহোল্ডার, তাদের মাঝে যারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে ভাগ বাটোয়ারা থেকে বঞ্চিত হয়েছে- তাদেরকে উস্কে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
উক্ত ব্যক্তিকে এয়ারফোর্স “তুলে নিয়ে গেছে”― এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে কিছু মানুষ গ্রামবাসীকে উস্কে এয়ারবেসের দিকে নিয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতার সাথে ডিল করতে বিমানবাহিনীর একজন পাইলট (ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট) আসেন। কিন্তু উত্তেজিত জনতা তাকে লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
অবস্থার অবনতি হলে বাধ্য হয়ে এয়ার ক্রুরা ফ্লাইং স্যুট পরে, হাতে লাঠি নিয়ে মবকে ট্যাকেল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়না।
এরপরই বিমান বাহিনীর সৈনিকরা ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার করে জনতাকে হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু যখন তারা বুঝতে পারে সৈনিকরা ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার'ই করবে কোনো হার্ড হিটে যাবেনা, তখন তারা ইট পাথর ছুড়তে ছুড়তে ক্লোজ কোয়ার্টার রেঞ্জ বা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে চলে আসে। আত্মরক্ষার্থে সৈনিকরা লাইভ এমুনিশন ফায়ার করলে শিহাব নামে এক ব্যক্তি মারা যায়।
এই পুরো ঘটনা পরিকল্পিত এবং এখানে বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা আঁচ করছে এয়ারফোর্সের ইন্টিলিজেন্স উইং। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পিপল ম্যানেজমেন্টে হাই ট্রেইন্ড― এমন কাউকে এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা এই ঘটনায় তদন্তের স্বার্থেই আটক ব্যক্তির পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড আমাকে জানাননি। পরবর্তীতে কোনো আপডেট হাতে এলে আপনাদের জানাব ইনশাআল্লাহ।কক্সবাজারে মূলত কি ঘটেছে..?
যারা আমার বন্ধু তালিকায় রয়েছেন বা আমাকে ফলো করেন তারা নিশ্চয়ই জানবেন, কিছুদিন আগে আমি আমার একটি পোস্টে বলেছিলাম বাংলাদেশ এয়ারফোর্সের জন্য বড় একটি চমক আসছে এবং সেটি হলো রাডার ইন্টিগ্রেশন এন্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। চলতি বছরের মে মাসের মধ্যেই এয়ারফোর্সের জন্য শক্তিশালী ঐ রাডার ইন্টিগ্রেট করা হবে।
এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের এই টোটাল সেটাপ কেনার টেন্ডার ছাড়া হয় 2018 সালে এবং 2019 এর শুরুর দিকে গভর্মেন্ট টু গভর্মেন্ট ডিল হয়।
জি2জি ডিল হওয়ায় সেটাপ ডেলিভারি পাওয়ার পর এটার ইনস্টলেশন কোথায় হবে তা আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। যেহেতু এটা খুবই সফিস্টিকেটেড ওয়েপন তাই স্ট্রাটেজিক্যাল, টেকনিক্যাল এন্ড জিওগ্রাফিক্যাল এডভেন্টেজকে মাথায় রেখে কক্সবাজারকে বিবেচনা করা হয়। তবে রাডার, মিসাইল লঞ্চ পড, কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম সহ অন্যান্য ভেহিক্যাল দ্বারা সেটাপ ইনস্টল করতে অনেকটা জায়গা প্রয়োজন; যা কক্সবাজার এয়ারফোর্স বেসের ছিল না। তাই বিমানবাহিনী রানওয়ে এক্সটেনশন সহ বিভিন্ন ওয়েপন্স সেটাপের জন্য অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সরকারকে অফিসিয়ালি জানায়।
তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার বিষয়টি বিবেচনায় এনে এয়ারফোর্স বেস সংলগ্ন সমিতিপাড়া সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের জমি অধিগ্রহনের গেজেট প্রকাশ করে। অতঃপর স্থানীয়দের সাথে কয়েক দফা বৈঠকের পর তাদেরকে জমির সেসময়কার মূল্য অনুযায়ী নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে গ্রামবাসী বেশিই লাভবান হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যেই প্রত্যেককে তার পাওনা বুঝিয়ে দেয় সিভিল এডমিনস্ট্রেশন।
এখন প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে এতদিন পর বিষয়টি কিভাবে লাইমলাইটে আসলো?
খেয়াল করুন, ডিল হয়েছিল 2019 সালে, গ্রামবাসী তাদের পাওনা বুঝে পায় পরবর্তী বছর শেষ হওয়ার আগেই। তবুও 2022 এর শেষদিকে একবার, 2023 এর জুনে দ্বিতীয়বার এবং একই বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর তৃতীয়বারের মত গ্রামবাসীর সাথে টুকটাক বাকবিতন্ডা হয়।
কেনো হয়?
এটা হওয়ার মূল কারন ছিল এয়ারফোর্সের তার সেটাপ ডেলিভারি পেতে দেরি হওয়া। কারন খুবই ধীরগতিতে কাজ চলছিল, তাই এয়ারফোর্স জায়গাটার উপর পরিপূর্ন করায়ত্ত প্রতিষ্ঠা করতে পারছিল না। জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় অনেকেই আবার বসবাস শুরু করে এবং এই ঘটনাপ্রবাহের সর্বশেষ রিয়্যাকশন হয় হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে গত জানুয়ারি মাসে।
বাংলাদেশের যেসব জায়গাতে এয়ারফোর্স বেস রয়েছে, তার প্রত্যেকটির দায়িত্বে থাকে একটি সিভিলিয়ান গ্রূপ; তারা মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্সের আন্ডারে কাজ করে। তাদেরকে বলা হয় MODc
গতকাল জানুয়ারি মাসে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির উস্কানিতে একদল লোক দিয়ে এয়ারফোর্স বেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা MODc এর এক কর্মকর্তাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং বিশ্ৰী ভাষায় গালাগালি করে।
আপনাকে বুঝতে হবে, এয়ারফোর্স বেসের নিরাপত্তা কর্মীর উপর হামলা মানে এয়ারবেসের উপর হামলা। কিন্তু সেই ঘটনা মিডিয়াতেই আসেনি। কেনো আসেনি? কারন এয়ারফোর্স নিজেই আসতে দেয়নি।
এয়ারফোর্সের ইন্টিলিজেন্স উইং খোঁজ শুরু করে কাদের উস্কানিতে এই সমস্ত লোকজন একটি মীমাংসিত বিষয়কে নতুনভাবে উত্থাপনের মাধ্যমে বিশঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে?
সম্প্রতি তারা সেই নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে খুঁজে পায় এবং গতকাল/গতপরশু তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এয়ারবেসে নিয়ে যায়। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নির্দিষ্ট পলিটিক্যাল ওরিয়েন্টেশন আছে এবং সে ঝামেলা তৈরির জন্য বির্তকিত জমির মালিকদের গোপনে একত্রিত করে। যেসব জমির মিউটেশনে সমস্যা কিংবা ব্যক্তি মালিকানাধীন নয় অর্থাৎ যেসব জমির একাধিক স্টেকহোল্ডার, তাদের মাঝে যারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারনে ভাগ বাটোয়ারা থেকে বঞ্চিত হয়েছে- তাদেরকে উস্কে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
উক্ত ব্যক্তিকে এয়ারফোর্স “তুলে নিয়ে গেছে”― এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে কিছু মানুষ গ্রামবাসীকে উস্কে এয়ারবেসের দিকে নিয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতার সাথে ডিল করতে বিমানবাহিনীর একজন পাইলট (ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট) আসেন। কিন্তু উত্তেজিত জনতা তাকে লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
অবস্থার অবনতি হলে বাধ্য হয়ে এয়ার ক্রুরা ফ্লাইং স্যুট পরে, হাতে লাঠি নিয়ে মবকে ট্যাকেল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়না।
এরপরই বিমান বাহিনীর সৈনিকরা ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার করে জনতাকে হটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু যখন তারা বুঝতে পারে সৈনিকরা ব্ল্যাঙ্ক ফায়ার'ই করবে কোনো হার্ড হিটে যাবেনা, তখন তারা ইট পাথর ছুড়তে ছুড়তে ক্লোজ কোয়ার্টার রেঞ্জ বা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে চলে আসে। আত্মরক্ষার্থে সৈনিকরা লাইভ এমুনিশন ফায়ার করলে শিহাব নামে এক ব্যক্তি মারা যায়।
এই পুরো ঘটনা পরিকল্পিত এবং এখানে বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা আঁচ করছে এয়ারফোর্সের ইন্টিলিজেন্স উইং। সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পিপল ম্যানেজমেন্টে হাই ট্রেইন্ড― এমন কাউকে এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তবে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা এই ঘটনায় তদন্তের স্বার্থেই আটক ব্যক্তির পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড আমাকে জানাননি। পরবর্তীতে কোনো আপডেট হাতে এলে আপনাদের জানাব ইনশাআল্লাহ।