Image description

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় প্রকাশ্যে দুইজনের ওপর রামদা নিয়ে হামলার ঘটনায় নাটকীয় মোড় তৈরি হয়েছে। শুরু থেকেই মেহবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি নামে দুজনকে দম্পতি বলা হলেও এখন শম্পা বেগম নামে এক নারী দাবি করেছেন, ওই পরিচয় সত্য নয়।তারা দুজন সহকর্মী, বরং শম্পাই হলেন মেহবুলের প্রকৃত স্ত্রী।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিজের বাসায় কয়েকজন সাংবাদিককে ব্রিফিংকালে শম্পা এ দাবি করেন। তার ওই ব্রিফিং ফেসবুকসহ ডিজিটাল প্লাটফর্মে লাইভ প্রচার হয়। শম্পার ব্রিফিংয়ের সময় মেহবুল তাকে মোবাইল ফোনে কল করে স্ত্রী পরিচয় দেওয়ায় রাগারাগিও করেন।  

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর রোডে মেহবুল হাসান ও নাসরিন আক্তার ইপ্তি কয়েকজন তরুণের হামলার শিকার হন। মেহবুলকে রামদা হাতে এলোপাতাড়ি কোপানোর সময় তাকে বাঁচাতে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ইপ্তি। এতে তিনিও আঘাত পান। অবশ্য এ ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটির পর নাসরিন আক্তার ইপ্তি বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে মেহবুল ও ইপ্তির পরিচয় স্বামী-স্ত্রী উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু শম্পার দাবি, ইপ্তির সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক আছে। তাদের বিয়ে হয়েছে কি না, তা তিনি নিশ্চিত নন।

২০১৬ সালে মেহবুলের সঙ্গে শম্পার বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান আছে। তাদের বয়স ৫ ও ৪ বছর। ব্রিফিংয়ের সময় দুই সন্তানকেও সামনে নিয়ে আসেন শম্পা।

লাইভে থাকাকালেই শম্পার মোবাইল ফোনে কল দেন মেহবুল। কলে তাকে বেশ রাগারাগি করতে শোনা যায়। শম্পাকে মেহবুল বলেন, ‘তুই মিডিয়াতে থাক। মিডিয়াতে তুই বউ হয়ে আয়। ’

শম্পা অভিযোগ করেন, মিডিয়ার সামনে নিজের পরিচয় প্রকাশ করায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, মেহবুল হাসান ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে কাজ করেন। ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হন। স্বামী বাইরে থাকলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনা দেখে তিনি হামলার বিষয়টি জানতে পারেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শম্পা জানান, উত্তরায় হামলার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। ওই রাতে স্বামী উত্তরায় কেন গিয়েছিলেন, তা-ও জানেন না তিনি।  

শম্পা বলেন, ‘মেহবুল হাসান আমার বৈধ স্বামী। নাসরিন আক্তার ইপ্তির সঙ্গে তাদের স্বামী-স্ত্রীর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। ’ 

তিনি দাবি করেন, বিয়েসংক্রান্ত প্রমাণাদিও তার কাছে আছে।

এদিকে দায়ের করা মামলার এজাহার অনুসারে, হামলায় আহত দুজনই একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শম্পার দাবির বিষয়ে জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।