
(তানভীর রাফি)
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকাতে মোট পাঁচটা প্রেসিডেনশিয়াল সুইটস আছে। লীগের আমলে সারাবছর জুড়ে পাঁচটা সুইটস অলিখিতভাবে বুকড থাকতো। লীগের শেষ ১০ বছরের বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন সর্বোচ্চ ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের নামেই এসব সুইটস বুকড থাকতো।
২০১৯-২১ সাল, এই সময়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাঁচটা প্রেসিডেনশিয়াল সুইটস এর মধ্যে চারটা সুইটস বরাদ্দ ছিলো যথাক্রমে ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, বেনজির আহমেদ, জিয়াউল আহসানের নামে।
তবে পাঁচ নাম্বার প্রেসিডেনশিয়াল সুইটটা বরাদ্দ ছিলো ভিন্ন ভিন্ন দুইজন ব্যক্তির নামে। অর্থাৎ একটা সুইট দুইজন আলাদা ব্যক্তি শেয়ার করতো। মাঝে মাঝে এমনও হইছে সেই দুইজন ব্যক্তি একই সময়ে হোটেলে হাজির হয়ে গেছে। যদিও প্রেসিডেনশিয়াল সুইটে দুইটা রুম আছে। তবু প্রাইভেসির একটা ব্যাপার স্যাপার তো আছে! কিন্তু এই দুইজন ব্যক্তি যেহেতু পূর্বপরিচিত, তাই তাদের লজ্জা-শরমের বালাই ছিলো না।
আবার মাঝেমাঝে এমনও হইছে যে, রুমে একই সাথে তিনজন ব্যক্তিকে এন্ট্রি করা লাগছে। কারণ একজন তার লুডো খেলার সঙ্গী পাইছে। অন্যদিকে অপরজনের লুডো খেলার সঙ্গী ডায়রিয়া হইছে। তখন সঙ্গিবিহীন ব্যক্তি লুডো খেলা বাদ দিয়ে ঘুমাইতো, নাকি তিনজন একসাথে লুডো খেলতো সেইটা খোদা মাবুদ ভালো জানে!
যাইহোক। এই দুইজন ব্যক্তির একজন ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান, অপরজন ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
এত কথা বললাম। কারণ ভাগাভাগি করে খাওয়ার বিষয়টা আসলে পলকের পুরানা অভ্যাস। সে জেলে বইসা ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কলা-রুটি ভাগ করে খায়। আর জেলের বাইরে ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডা. মুরাদের সঙ্গে শুয়ে শুয়ে ভাগ করে খাইতো।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইতাছে, ডা. মুরাদ তেমন ক্ষমতাবান কোনো ব্যক্তি না হয়েও ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটা প্রেসিডেনশিয়াল সুইট বাগায় নিছিলো। কারণ নারীলিপ্সু মুরাদ তথ্য প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মিডিয়া জগতে অপকর্মের অবাধ বিচরণ শুরু করে। সেই সুবাধে আরেক নারীলিপ্সু ওবায়দুল কাদেরের প্রধান সাপ্লায়ার হিসাবে ডা. মুরাদ নিয়মিত সেবা প্রদান করতো। ওবায়দুল কাদেরকে নিয়মিত খেদমত করার জন্য গিফট হিসাবে ড. মুরাদকে দেওয়া হয় একটি প্রেসিডেনশিয়াল সুইট!