Image description
 

যমুনা নদীতে বিদ্যমান বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে গড়ে তোলা স্বতন্ত্র রেল সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

 

যমুনা নদীতে বিদ্যমান বহুমুখী সেতুর ৩০০ মিটার উজানে গড়ে তোলা স্বতন্ত্র রেল সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা ১২ মিনিটে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথমবারের মতো সেতুটি পাড়ি দেয়। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে শিডিউলে অন্য ট্রেনগুলোও নতুন সেতু দিয়ে চলাচল করেছে। দুই রেল লাইনের সেতুটির একটি লাইন আপাতত ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ১৮ মার্চ সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর দুটি লাইন দিয়েই ট্রেন চলবে।

নতুন সেতু দিয়ে ট্রেন চালুর সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে পুরনো যমুনা বহুমুখী সেতুতে ট্রেন চলাচল। ১৯৯৮ সালে চালু হওয়া এ সেতু থেকে রেলপথ তুলে দিয়ে সড়কপথ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে সরকার।

যমুনা রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মাসউদুর রহমান বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, সেতুর দুটি লাইনের মধ্যে একটি লাইনে আজ বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালু হলো। পর্যায়ক্রমে শিডিউল অনুযায়ী বাকি ট্রেনগুলো চলবে। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে আর ট্রেন চলবে না। রেল সেতুতে দুটি লাইন থাকলেও গতকাল একটি লাইন দিয়েই উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করবে।

 

সেতুর টাঙ্গাইল প্রান্তে থাকা ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের মাস্টার শাহীন মিয়া বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, সেতুটি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর উপযোগী। তবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত এ রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্প ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর অনুমোদন দেয় তৎকালীন সরকার। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। কিন্তু নানা কারণে তখন সেতু নির্মাণে জটিলতা তৈরি হয়। পরে প্রকল্পটি সংশোধন করে নির্মাণ ব্যয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়। এর মধ্যে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন বা জাইকার কাছ থেকে ঋণ, বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।

রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যমান বহুমুখী সেতু দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩৮টি ট্রেন পারাপার হতে পারে। চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় মাত্র ১৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনগুলো চলে। নতুন সেতুটি চালু হওয়ায় প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে।