
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে ওয়ার্ডবয় সেজে প্রতারণার অভিযোগে হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারী আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার জীবন চন্দ্রের দায়ের করা মামলায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ রবিবার আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে পুলিশ তাকে আদালতে পাঠালে ব্যক্তি আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। অভিযোগ ঈদ-উল-আযহার দিন শনিবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুরে সিএনজি অটো রিক্সা ও মোটরসাইকেল এর দুর্ঘটনায় আহত সোহেল মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে এলে হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ড্রেসিংরুমে আলমগীর হোসেন তাকে সেলাই সহ ড্রেসিং করে দেয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা, মাইনুদ্দিন খান জানান, "ওয়ার্ডবয় সেজে প্রতারণার অভিযোগে আলমগীর হোসেনকে আটকের পর হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।"
পরে হাসপাতালের ওয়ার্ডবয় জীবন চন্দ্রের দায়ের করা মামলায় রবিবার কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখায়। হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের ৯ নম্বর সার্জারি ওয়ার্ডের ড্রেসিংরুমের ভেতর প্রতারণা করে ওয়ার্ডবয় সেজে আলমগীর হোসেন কীভাবে জরুরি রোগীদের ড্রেসিং ও সেলাই করছিল সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রতারণার অভিযোগে আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মচারী আলমগীর হোসেন কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে অর্থোপেডিক্স বিভাগের ড্রেসিংরুমে এভাবে রোগীদের সার্জারি ও ড্রেসিং করে আসছিল তা নিয়ে বিস্মিত ময়মনসিংহের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন অনেকেই। এই ঘটনায় ঈদের ছুটিতে অনেক ওয়ার্ডেই কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাজে ফাঁকি ও গাফিলতি সহ কর্মস্থলে অনুপস্থিতিকে স্পষ্ট করে তুলছে বলে জানান ময়মনসিংহের বিশিষ্টজনেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না বলে, মনে করেন ময়মনসিংহ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান।