Image description

চলতি বয়সভিত্তিক সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে অজেয় থেকেই ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শিরোপার লড়াইয়ে লাল-সবুজের প্রতিপক্ষ হিমালয়ের দেশ নেপাল। বৃহস্পতিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

মঙ্গলবার ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন শামসুন্নাহার জুনিয়র। জোড়া গোল করেন আকলিমা খাতুন। তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগে পয়েন্ট টেবিলে সবার সেরা গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা। মঙ্গলবারের ম্যাচ ড্র করলেই ফাইনালে টিকেট পেত বাংলাদেশ। কিন্তু বড় জয়ে টইটুম্বুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে বাংলার বাঘিনীরা। একই দিনে আগের ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে নেপাল। বলাবাহুল্য সাফ নারী ফুটবলের মূল আসরেও ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল নেপাল। ওই ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে জিতে প্রথমবারের মতো সাফ শিরোপা নিজেদের করে নেয় মেয়েরা। এবারেও অগ্রজদের পথেই এগুচ্ছে শামসুন্নাহাররা।


কমলাপুরে গতকাল বাংলাদেশ ও ভুটান ম্যাচের আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে দুই দলের খেলোয়াড়রা। আগের ম্যাচে বিকালে ভারত ও নেপাল ম্যাচের আগেও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

ভুটানের বিপক্ষে খেলার অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। এ সময় আকলিমার দুর্বল শট আটকে দেন ভুটানের গোলরক্ষক নোরবু। ১০ মিনিটের মাথায় শাহিদা আক্তার রিপার শট ভুটানের গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে গোলমুখে বল পান উন্নতি খাতুন। সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ডেডলক ভাঙে ২০ মিনিটে। এ সময় শামসুন্নাহারের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পান আকলিমা (১-০)। একটু এগিয়ে গিয়ে ডান পায়ের প্লেসিং শটে গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।

খেলার ২৩ মিনিটে বাংলাদেশ অধিনায়ক শামসুন্নাহারকে ডি-বক্সে ফেলে দেন ভুটানের ডিফেন্ডার তাসি ওয়াঙ্গগো। এতে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। স্পট কিক থেকে গোল করতে পারেননি রিপা। খেলার ২৯ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন শামসুন্নাহার (২-০)। এ সময় উন্নতি খাতুনের ক্রস থেকে হেডে ভুটানের জালে বল পাঠান স্বাগতিক অধিনায়ক। এই লিড ধরে রেখেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।


ম্যাচের ৫২ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন শামসুন্নাহার (৩-০)। মধ্য মাঠ থেকে রিপার বাড়ানো বল ডি-বক্স ঢুকে গোল করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। খেলার ৫৫ মিনিটে হ্যাটট্রিকে সুযোগ মিস করেন শামসুন্নাহার। গোলরক্ষকে একা পেয়েও বল তুলে দেন ক্রসবারের ওপর দিয়ে। খেলার ৬০ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন আকলিমা (৪-০)। ৬১ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন শামসুন্নাহার (৫-০)। এর মধ্য দিয়ে ফাইনালের আগে উৎসব মেজাজে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা।