দেশের সর্ববৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা ফের বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যার দিকে সার কারখানার রিফরমার টিউবে লিকেজ দেখা দিলে ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
যমুনা সার কারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ীসহ উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার যমুনার সার উত্তোলন করেন। দীর্ঘ সময় উৎপাদন বন্ধ থাকলে সার সংকটে চলতি মৌসুমে ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় আছেন সার ব্যবসায়ীরা। তাই তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে কারখানা চালুর দাবি জানান।
যমুনা কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে উপজেলার তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে যমুনা সার কারখানার দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭০০ মেট্রিকটন। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় পরে তা ১ হাজার ৩০০ মেট্রিকটনে নেমে আসে। গত বছরের জুন মাসে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দেয়। প্রয়োজন মাফিক গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় ২১ জুন যমুনার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গ্যাস সরবরাহ করলে ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে উৎপাদনে ফিরে যমুনা সার কারখানা। যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদুল্লাহ খান মোবাইল ফোনে সময়ের আলোকে জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যমুনা সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ত্রুটি সারিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে উৎপাদনে ফেরার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে গত ২২ জানুয়ারি জানুয়ারি ভারতীয় বিশেষজ্ঞ তানাজি এস. পন্দেকারের নেতৃত্ব একটি দল কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের এনজি বুস্টার কমপ্রেসার পরিদর্শনে আসেন। পরিদর্শনের সময় তিনি এনজি বুস্টারের একটি ভুল বাটনে চাপ দেন। এতে বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ে।