Image description

বিশেষ সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক অশোক সোয়াইন

 

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা এখন নয়াদিল্লির জন্য একপ্রকার ‘রাজনৈতিক বোঝা’ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন সুইডেনভিত্তিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত অধ্যাপক অশোক সোয়াইন। 

যুগান্তরকে তিনি বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত দলটির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি একদিকে যেমন ভারতের অভ্যন্তরীণ ও কূটনৈতিক ভারসাম্যে চাপ ফেলছে, তেমনি আঞ্চলিক রাজনীতিতে ভারতের অবস্থানকেও জটিল করে তুলছে।

অধ্যাপক সোয়াইন সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান। ভারতের শাসকদল বিজেপির একজন কট্টর সমালোচক হিসেবে তিনি পরিচিত। বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসীদের ‘ওভারসিজ সিটিজেনস অব ইন্ডিয়া’ (ওসিআই) দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২২ সালে অধ্যাপক সোয়াইনের এই মর্যাদা বাতিল করা হয়। এরপর ২০২৩ সালেও একইভাবে তার বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় মোদি সরকার। প্রতিবারই সরকারি নীতির বিরুদ্ধে অধ্যাপক সোয়াইন আদেশটিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। 

চলতি বছরের মার্চে অধ্যাপক সোয়াইন এক টুইটে লিখেছেন, ‘মোদি হ্যাজ মেইড ইন্ডিয়া টু লুজ বাংলাদেশ টু পাকিস্তান এন্ড চায়না’ (বাংলাদেশ ইস্যুতে চীন ও পাকিস্তানের কাছে মোদি ভারতকে হারিয়েছেন)।

৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে অবনতিশীল পর্যায়ে পৌঁছে। হাসিনার প্রত্যার্পণসংখ্যালঘু ইস্যুসীমান্ত উত্তেজনাট্রানশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহারপানিবণ্টনসহ একাধিক ইস্যুতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে আস্থার সংকট ক্রমশ বেড়েছে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন অধ্যাপক অশোক সোয়াইন। সম্প্রতি ইমেইলের মাধ্যমে তার এই সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন যুগান্তরের আন্তর্জাতিক ডেস্কের সহ-সম্পাদক আবদুল মজিদ চৌধুরী।

যুগান্তর: আপনি সম্প্রতি টুইটারে মন্তব্য করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘বাংলাদেশ নিয়ে চীন ও পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হয়েছেন।’ কিন্তু শেখ হাসিনার বিতর্কিত নির্বাচনগুলোকে ভারত ২০১৪ সাল থেকেই সমর্থন করে আসছে, এমনকি তখন কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় ছিল। তাহলে শুধুমাত্র মোদির উপর দায় চাপাচ্ছেন কেন? আপনি কি এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে পারেন?

অধ্যাপক অশোক সোয়াইন: শেখ হাসিনাকে ভারতের সমর্থন মোদির আগের সময় থেকেই রয়েছে, তবে মোদি প্রশাসন যেভাবে অতিরিক্তভাবে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে, তা ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। আগের ভারতীয় সরকারগুলোর তুলনায় মোদির কৌশলগত অবস্থান ছিল অনেক বেশি হিন্দুত্ববাদী আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা বাংলাদেশে বহু মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

শেখ হাসিনাকে শর্তহীনভাবে সমর্থন দিয়ে ভারত বাংলাদেশের বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের আস্থা হারিয়েছে—এই সুযোগে চীন ও পাকিস্তান তাদের প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির ‘প্রহসনের নির্বাচন’-এর পর ভারত যদি গণতন্ত্রের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিত, তাহলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে যেসব ঘটনা ঘটেছে—যেমন হাসিনার দিল্লি সফর ও ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতি—তাতে মোদি সরকারের ব্যর্থতাই স্পষ্ট হয়, বিশেষ করে বাংলাদেশে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত প্রভাব ধরে রাখার ক্ষেত্রে।


যুগান্তর: শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়মিতভাবে উঠেছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে ক্ষমতা ধরে রাখতে গুলি চালানোর নির্দেশের বিষয়েও উল্লেখ রয়েছে। এমন বাস্তবতায়, শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে ভারত সরকার কি কোনো নৈতিক দায় অনুভব করে না? বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র হিসেবে ভারত কেন আওয়ামী লীগের বিকল্প বিবেচনা করেনি?

অধ্যাপক অশোক সোয়াইন: শেখ হাসিনাকে ভারতের সমর্থন মূলত নৈতিক নয়, বরং কৌশলগত ও নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কারণেই দেওয়া হয়েছে। যদিও তার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আন্তর্জাতিকভাবে নথিভুক্ত, তবুও নয়াদিল্লি স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক স্বার্থকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছে—গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নয়।

আওয়ামী লীগের বিকল্প বিবেচনা না করার পেছনে কয়েকটি বিষয় কাজ করেছে: ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার মনে করেছে, ইসলামি জঙ্গিবাদ দমনে ও সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষায় হাসিনা একজন নির্ভরযোগ্য সহযোগী; তার সরকার ভারতের জন্য বাণিজ্য ও ট্রানজিট সুবিধা নিশ্চিত করেছে, যা দিল্লির আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়িয়েছে; এবং চীনের বাড়তে থাকা প্রভাবকে ভারসাম্যে আনতে ভারত হাসিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে চেয়েছে।

কিন্তু এতদিনের এই একমুখী নির্ভরশীলতা এখন ভারতের জন্য প্রতিকূল ফল বয়ে এনেছে। বাংলাদেশের অনেক নাগরিক এখন ভারতকে একজন অগণতান্ত্রিক ও দমনমূলক সরকারকে সমর্থনের অংশীদার হিসেবে দেখছেন।

বর্তমানে যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংলাপে যাচ্ছে, তখন ভারতের জন্য হয়তো নতুন করে তাদের কূটনৈতিক কৌশল বিবেচনার সময় এসেছে।

যুগান্তর: বাংলাদেশে গণতন্ত্র সংকটকে ভারত দীর্ঘদিন ধরে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে এড়িয়ে গেছে। অথচ ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের অধিকারসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে দিল্লি উদ্বেগ জানায়। তাহলে কি ভারতের আগের নীতি ভুল ছিল? আর তাতেই কি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে?

অধ্যাপক অশোক সোয়াইন: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংকটকে অবজ্ঞা করে এবং একইসঙ্গে শেখ হাসিনাকে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে ভারত যে নীতি অনুসরণ করেছে, তা নিঃসন্দেহে একপাক্ষিক এবং ভুল ছিল। এর ফলে ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে—বিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে।

৫ আগস্টের পর ভারত হঠাৎ করে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে এই অবস্থান পরিবর্তন অনেকের চোখে আদর্শগত নয়, বরং ‘সুযোগসন্ধানী’ পদক্ষেপ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।  কারণ, যখন হাসিনার শাসনামলে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন, তখন ভারত ছিল নিশ্চুপ।

এই দ্বিচারিতা বাংলাদেশিদের মধ্যে একপ্রকার ক্ষোভ ও অনাস্থা জন্ম দিয়েছে। তারা এখন ভারতের পররাষ্ট্রনীতিকে একটি গণতান্ত্রিক, নীতিনিষ্ঠ প্রতিবেশীর আচরণ না বলে, বরং আত্মকেন্দ্রিক ও সুবিধাবাদী কৌশল হিসেবেই দেখছেন।

যুগান্তর: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আগস্টের পর থেকে ভারত বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে। ভারত কি এখনও মনে করে, বাংলাদেশ মানেই আওয়ামী লীগ সরকার? এই অবস্থান কি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন? আদর্শগত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও ভারত আফগান তালেবানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছে এবং সম্পর্কোন্নয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে—তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই বৈরিতা কেন?

অধ্যাপক অশোক সোয়াইন: ভারত বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য ভিসা স্থগিত করে যে বার্তা দিয়েছে, তা স্পষ্টভাবে বোঝায় যে দিল্লি এখনও বাংলাদেশের রাজনীতি কেবল আওয়ামী লীগের চোখেই দেখে। এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, অথচ বাস্তবতা হচ্ছে—বাংলাদেশে বর্তমানে ভিন্ন এক রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, যার সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত হওয়ার দরকার ছিল।

আফগানিস্তানের তালেবান শাসকদের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং একইসঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির এক ধরনের দ্বিমুখী অবস্থানকে নির্দেশ করে। পাকিস্তান ঘিরে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কৌশলগত হিসাব থেকে ভারত তালেবানের সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী হলেও, শেখ হাসিনার বিদায়ের কারণে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের এই বিরূপ মনোভাব রাজনৈতিক হতাশারই প্রতিফলন।

এই দৃষ্টিভঙ্গি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা সুপ্রতিবেশী চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বরং, ভারসাম্যপূর্ণ একটি নীতি হওয়া উচিত ছিল যেখানে বাংলাদেশের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গেও সংলাপ ও সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রয়াস নেওয়া হতো, শুধু একটি দলের পক্ষে অবস্থান না নিয়ে।

যুগান্তর: আওয়ামী লীগের বহু কেন্দ্রীয় নেতা, তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ অনেকেই ভারতে পালিয়ে গেছেন। তারা এখন ভারত সরকার থেকে সহায়তা প্রত্যাশা করছেন। ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বিবেচনায় নিলে, তাদের দীর্ঘমেয়াদি এই অবস্থান কি ভারত সরকারকে রাজনৈতিক চাপের মুখে ফেলছে?

অধ্যাপক অশোক সোয়াইন: হ্যাঁ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ভারতে উপস্থিতি ভারত সরকারের জন্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। প্রতিবেশী দেশগুলোর রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভারত অতীতে আশ্রয় দিলেও এত সংখ্যায় বিতর্কিত নেতা ও কর্মীদের উপস্থিতি ভারতে অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়াতে পারে। অনেকেই অতীতে রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যা নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক মর্যাদার দিক থেকে ভারতের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এসব নেতাকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিলে অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে যখন তারা চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। সবমিলিয়ে, ভারতকে এই পরিস্থিতি খুব সতর্কভাবে সামাল দিতে হবে যাতে অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য ও প্রতিবেশী সম্পর্ক দুটোই রক্ষা পায়।

যুগান্তর: অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, পুলিশ এখনো পুরোপুরি সক্রিয় হয়নি। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে জনমনে বাড়ছে উৎকণ্ঠা। এদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্য নেই। আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৬ সালের জুনে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে?

অধ্যাপক অশোক সোয়াইন: বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি, পুলিশের দুর্বল সক্রিয়তা এবং নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধের প্রেক্ষাপটে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া অনিশ্চিত।

গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে— বাড়তে থাকা গণপিটুনির ঘটনা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের ব্যর্থতা, যা জনগণের আস্থা নষ্ট করছে; রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন সংস্কার নিয়ে ঐক্যমতের অভাব, ফলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনি কাঠামো গড়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ছে; এবং নারীদের নিরাপত্তাহীনতা ও ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর প্রতি সহিংসতা, যা নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ভোটার অংশগ্রহণকে জটিল করে তুলছে।

নির্বাচন আয়োজন সম্ভব করতে হলে, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনি প্রশাসন গঠনে পদক্ষেপ নিতে হবে। এই সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান না হলে নির্বাচন আরও পেছাতে পারে— যা বাংলাদেশের জন্য এবং এর ভবিষ্যতের জন্য মোটেও ইতিবাচক হবে না।