Image description
 

দক্ষিণ চীন সাগরের আকাশসীমায় যৌথ মহড়া পরিচালনা করেছে ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী। এদিকে, মঙ্গলবারের (৪ ডিসেম্বর) এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিতর্কিত এলাকায় সামরিক টহল দিয়েছে বেইজিং। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ফিলিপাইন বিমান বাহিনীর মুখপাত্র মারিয়া কনসুয়েলো কাসতিলো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে একদিনের এই মহড়া চালানো হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অনুযায়ী, দক্ষিণ চীন সাগরের ওই অংশ ম্যানিলার একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন বা ইইজেড) আওতাভুক্ত।

কাসতিলো আরও বলেছেন, দুদেশের বিমান বাহিনীর অভিযান পরিচালনায় কার্যকর সমন্বয় বৃদ্ধি, আকাশসীমায় সতর্কতা উন্নতকরণ এবং যুদ্ধ সক্ষমতা জোরদার করতে এই মহড়া চালানো হয়েছে।  
এদিকে, মঙ্গলবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অভিযোগ জানিয়ে বেইজিং বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহড়া পরিচালনা করেছে ম্যানিলা।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরে কোনও সামরিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি চীনের সার্বভৌমত্ব এবং সামুদ্রিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখবে চীনা বিমান বাহিনী।

দক্ষিণ চীন সাগর কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। এখান দিয়ে বছরে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থমূল্যের বাণিজ্য পরিচালিত হয়। এই অঞ্চলের উপকূলীয় দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের দাবিকে উপেক্ষা করে সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা নিজের বলে দাবি করে আসছে চীন।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপাইনের নৌবাহিনী জানায়, তারা ম্যানিলার সমুদ্রসীমার মধ্যে থাকা তিনটি চীনা নৌযান নজরদারিতে রেখেছে।

এর আগে, চীনা সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় কমান্ডের এক মুখপাত্রের বরাতে দেশটির বার্তাসংস্থা জিনহুয়া জানায়, চীনা নৌবহরের চলাচল আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের রায়ে বলা হয়, ঐতিহাসিক 'ইলেভেন ড্যাশ' মানচিত্রের ভিত্তিতে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিংয়ের দাবি আন্তর্জাতিক আইনে পুরো ভিত্তিহীন। তবে বেইজিং এই রায়কে প্রত্যাখান করেছিল।