Image description

সিরিয়া থেকে বাশার আল আসাদকে বিতারিত করতে সুন্নি মুসলমানদেরকে সহায়তা করেছে তুরষ্ক। এবার সিরিয়াকে পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে সামরিক শক্তি বাড়াতে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে আঙ্কারা। নতুন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পাশাপাশি অত্যাধুনিক মার্কিন এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পরিকল্পনা

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক সিরিয়ায় অন্তত দুটি সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাত দিয়ে তুর্কিয়ে সংবাদমাধ্যম জানায়, অদূর ভবিষ্যতে সিরিয়ায় যুদ্ধবিমান মোতায়েনেরও পরিকল্পনা রয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তুরস্ক-সিরিয়া শিগগিরই একটি যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। এই চুক্তির আওতায় সিরিয়ায় যে কোনো তাৎক্ষণিক সামরিক হুমকি মোকাবিলায় আঙ্কারা দামেস্ককে সহায়তা দেবে। পাশাপাশি, তুর্কি বাহিনী সিরীয় সেনাদের সামরিক প্রশিক্ষণও দেবে।

সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাকারী বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামের (এইচটিএস) নেতা আহমেদ আল শারা দেশটির ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পশ্চিমা ও আরব বিশ্বের নেতাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে তার শাসনকে কেন্দ্র করে এবার নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে তুরস্ক।

৫০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের পরিকল্পনা

সিরিয়ায় মোট ৫০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে তুরষ্ক। মার্কিন নির্মাতা লকহিড মার্টিনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পর সর্বোচ্চ সংখ্যক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে তুরস্কের হাতে। বিশ্বজুড়ে মাত্র ৫টি দেশ রয়েছে যারা স্থানীয়ভাবে মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই যুদ্ধবিমান তৈরি করে, তুরস্ক তার অন্যতম। তুরস্কের কাছে বর্তমানে ২৩০ থেকে ২৭০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে।

শক্তিশালী সরকার গঠনের পথে আল-শা’রা আল-জুলানী

সম্প্রতি সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন সিরিয়া বিপ্লবের প্রধান নোত আহমেদ আল-শা’রা আল-জুলানী। মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের আমন্ত্রণে আঙ্কারা সফরে যাবেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান ফাওরেত্তিন আলতুন এক্সে দেওয়া বার্তায় জানিয়েছেন, এই সফর সিরিয়ার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।