Image description

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা 'খালি' করার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের অংশ হিসেবে গাজাবাসীদের মিশর ও জর্ডানে পাঠানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি। 

সম্প্রতি ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধে গাজা 'লণ্ডভণ্ড' হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। শনিবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে কথা বলেছেন। আজ রোববার মিশরের নেতার সঙ্গেও ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করার বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ ও ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের বলেন ট্রাম্প, 'আমি চাই মিশর তাদেরকে গ্রহণ করুক। আমি এটাও চাই যে জর্ডানও কিছু ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিক।' 

'আমরা এখানে সম্ভবত ১৫ লাখ মানুষ নিয়ে কথা বলছি। আসুন আমরা ওই পুরো জায়গাটি পরিষ্কার করে ফেলি। শত বছরেরও বেশি সময় ধরে ওই ভূখণ্ড নিয়ে একের পর এক সংঘাত হয়েছে। (এই সমস্যার সমাধানে সেখানে) কিছু একটা হওয়া উচিত', যোগ করেন তিনি।

এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

ইতোমধ্যে গাজার ২৪ লাখ জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় প্রায় ৪৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যারা বেঁচে গেছেন, তাদেরকেও বারবার বাস্তুচ্যুত হতে হয়েছে। 

প্রাণ বাঁচাতে গাজার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে ফিলস্তিনিদের, যাদের বেশিরভাগই নিরীহ , নিরস্ত্র ও বেসামরিক জনগোষ্ঠীর অংশ।

ট্রাম্প মন্তব্য করেন, গাজাবাসীদের সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগটি 'সাময়িক বা দীর্ঘমেয়াদি' হতে পারে।

'জায়গাটা পুরোপুরি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। সেখানে প্রায় সবকিছুই ধ্বংস হয়েছে এবং মানুষ প্রতিনিয়তই মারা যাচ্ছে', যোগ করেন তিনি।

এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

'এমন কিছু হতে না দিয়ে বরং কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন অবস্থানে তাদের থাকার জায়গা তৈরি করে দিয়ে তাদের ভাগ্যে পরিবর্তন আনতে চাই। তারা শান্তিতে বসবাস করুক, এটাই আমার চাওয়া', যোগ করেন তিনি।

ইসরায়েলের নির্বিচার ও প্রতিশোধমূলক হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশিরভাগ অংশই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে বেশিরভাগ অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা। জাতিসংঘের প্রাক্কলন মতে, গাজার পুনর্নির্মাণে অনেক বছর ও বিপুল অর্থের প্রয়োজন।