ইরানের তেল ও তেলজাত পণ্য পরিবহনের অভিযোগে ২৯টি জাহাজ এবং সেগুলোর ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। এসব জাহাজের মাধ্যমে শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইরানি তেল পরিবহন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওয়াশিংটন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঘোষিত এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় এক মিশরীয় ব্যবসায়ীও রয়েছেন। তার মালিকানাধীন বা সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে এই ২৯টি ট্যাংকারের মধ্যে সাতটির যোগসূত্র রয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় এসব জাহাজকে ইরানের তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’-এর অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট আরও কয়েকটি শিপিং কোম্পানির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞাভুক্ত জাহাজ ও প্রতিষ্ঠানগুলো সমুদ্রপথে শত শত মিলিয়ন ডলার মূল্যের ইরানি অপৃরিশোধিত তেল ও তেলজাত পণ্য পরিবহনে জড়িত ছিল।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার প্রশাসন ইরানি অপরিশোধিত তেল ও পরিশোধিত পণ্য পরিবহনের অভিযোগে ১৮০টির বেশি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তবে ট্যাংকার ট্র্যাকার্সসহ বিভিন্ন তেল রপ্তানি পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান জোরদার হলেও দেশটির প্রধান ক্রেতা চীন বরং আরও বেশি ইরানি তেল আমদানি করছে, যা ওয়াশিংটনের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শীর্ষনিউজ