দক্ষিণ সুদানে ড্রোন হামলায় ছয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। এই হামলার নিন্দা জানিয়ে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটি বলেছে, 'আমরা শান্তির সেবায় তাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই এবং বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা জানাই।'
আরব নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে শুরু হওয়া পূর্ণাঙ্গ সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলাটি ঘটলো।
প্রায় তিন দশক ধরে সুদান শাসন করা ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক বাহিনী। এর কয়েক মাসের মধ্যেই দেশটি সহিংসতার দিকে ঝুঁকে পড়ে, যা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। সেনাবাহিনী ও আরএসএফ উভয়েই আল-বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করলেও, পরবর্তীতে ক্ষমতার দ্বন্দ্বই হয়ে ওঠে গৃহযুদ্ধ।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী মিশন বলেছে, সুদানের 'কাদুগলিতে @UNISFA-এর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে পাকিস্তান। এর ফলে ৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।'
এতে বলা হয়, 'জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর এই ধরনের জঘন্য আক্রমণ যুদ্ধাপরাধের সমান। এই ভয়াবহ হামলার অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। একটি প্রধান সেনা-অংশদানকারী দেশ হিসেবে আমরা বিশ্বব্যাপী বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে শান্তির জন্য কাজ করা সমস্ত ব্লু হেলমেটের সঙ্গে সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি।'
আরব নিউজের প্রতিবেদন বলছে, গত বছর গণবিক্ষোভের মধ্যে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্কের পরিবর্তন শুরু হয়েছে। হাসিনা পাকিস্তানের প্রতিবেশী ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতে পালিয়ে গেছেন, যার ফলে ইসলামাবাদ এবং ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠনের সুযোগ তৈরি হয়।