সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় পালমিরা এলাকায় তিনজন মার্কিন নাগরিককে হত্যার সঙ্গে জড়িত বন্দুকধারী সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীরই একজন সদস্য ছিলেন। চরমপন্থী মতাদর্শের কারণে তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তবে তার আগেই তিনি হামলা চালান।
শনিবারের ওই হামলায় দুইজন মার্কিন সেনা ও একজন বেসামরিক দোভাষী নিহত হন। সিরীয় সরকার একে “সন্ত্রাসী হামলা” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলাটি ইসলামিক স্টেট (আইএস)–এর এক জঙ্গি চালিয়েছিল, যাকে পরে হত্যা করা হয়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নুরেদ্দিন আল-বাবা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে “চরমপন্থী ইসলামি চিন্তাধারা” পাওয়ায় তাকে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং রবিবার সেটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
একজন সিরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, হামলার পর সাধারণ নিরাপত্তা বাহিনীর ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ওই বন্দুকধারী প্রায় ১০ মাস ধরে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং পালমিরায় বদলির আগে বিভিন্ন শহরে দায়িত্ব পালন করেন।
ইউনেস্কো ঘোষিত প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের শহর পালমিরা একসময় ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রণে ছিল, বিশেষ করে সিরিয়ায় গোষ্ঠীটির সর্বোচ্চ প্রভাবের সময়।
গত ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিয়ার সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর এটি এ ধরনের প্রথম হামলার ঘটনা। হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প “খুবই কঠোর প্রতিশোধের” হুঁশিয়ারি দেন।