Image description
 

সাউথ আমেরিকার ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি বড় তেলের ট্যাংকার যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর হস্তক্ষেপে জব্দ করা হয়েছে বলে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপটি দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে উত্তেজিত সম্পর্ককে আরও তীব্র করে তুলেছে। 

 

ট্যাংকারটি একটি বিশাল আকৃতির  জাহাজ যা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা তেলবাহী জাহাজ ছিল বলে দাবী যুক্তরাষ্ট্রের । ট্যাংকারে তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, এটি আগে বিভিন্ন সময়ে নিষিদ্ধ তেল পরিবহনে জড়িত থাকার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারির অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

হোয়াইট হাউজে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ভেনেজুয়েলার উপকূলে একটি ট্যাংকার জব্দ করেছি, এটি বড়, খুবই বড়—এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ট্যাংকার।” তিনি আরও বলেন, “যুক্তিসঙ্গত  কারণে এটি জব্দ করা হয়েছে।” 

 

ট্যাংকার জব্দ করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড, এফবিআই এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বাহিনী একটি যৌথ অভিযান চালায়, ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে হেলিকপ্টার থেকে সৈনিকরা জাহাজে নেমে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছেন। 

 

ভেনেজুয়েলা সরকার এই পদক্ষেপকে “আন্তর্জাতিক জলদস্যুতা” এবং “চুরি” বলে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে। কারাকাসে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের এ ধরনের কার্যক্রম দেশটির সার্বভৌমত্ব, সম্পদ এবং জাতীয় মর্যাদা হরণ করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছে এবং তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর বিরুদ্ধে মামলা করবে। 

এই ঘটনাটি ট্রাম্প প্রশাসনের সময়কার ভেনেজুয়েলা সরকারের বিরুদ্ধে  চাপ বাড়ানোর সর্বশেষ পদক্ষেপগুলোর মধ্যে একটি। গত কয়েকদিন ধরেই ট্রাম্প প্রশাসন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

ট্যাংকার জব্দের খবর প্রকাশ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক তেল বাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা গেছে এবং তেলের দাম সামান্য বাড়ার ধারণা করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপ বৈশ্বিক জ্বালানি নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।