Image description

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার মুক্তি পাচ্ছেন চার জিম্মি ও ১৮০ কারাবন্দি ফিলিস্তিনি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী জিম্মিদের নাম ইসরাইলের হাতে হস্তান্তর করার কথা। অনলাইন বিবিসি জানিয়েছে, যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেয়া হবে তাদের নাম প্রকাশ করেছে হামাস। গণমাধ্যমটির খবরে বলা হয়,  শনিবারই ইসরাইলের কাছে নাম প্রকাশিত জিম্মিদের হস্তান্তর করা হবে। এবারও চার নারীকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা ইসরাইলি সেনা এবং বেসামরিক নাগরিক। এই চার জিম্মির বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে ১৮০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে তেল আবিব। 

এক সপ্তাহ আগে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির এটি দ্বিতীয় জিম্মি বিনিময়। প্রথম দিন চুক্তি অনুযায়ী তিন জিম্মি নারীকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। যার বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় নেতানিয়াহুর প্রশাসন। 
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার বিপরীতে প্রতিশোধমূলক নৃশংসতা শুরু করে ইসরাইল। তাদের দাবি সেদিন হামাস ১২০০ ইসরাইলি নাগরিককে হত্যা করেছে এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করেছে। এদিকে ইসরাইলের নৃশংসতায় গত ১৫ মাসের যুদ্ধে ৪৭ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখের অধিক মানুষ। 

আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে ২৬ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এ সম্পর্কেও তারা তথ্য প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জিম্মিদের মধ্যে বিবাস নামের একটি পরিবার রয়েছে। ওই পরিবারের বাবা-মা এবং তাদের দুই সন্তান জিম্মি হয়েছেন। এদের মধ্যে বন্দি হওয়ার সময় একজনের বয়স ছিল ১০ মাস। এই শিশুই সবচেয়ে অল্প বয়সী জিম্মি বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে হামাসের প্রকাশিতব্য তালিকায় তাদের নাম থাকবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস এবং ইসরাইল। যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে ট্রাম্পের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিও উপস্থিত ছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের একদিন আগে যুদ্ধবিরতির চুক্তিটি কার্যকর করা হয়। যা মোট তিন ধাপে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে। এখন চলছে প্রথম ধাপ। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি হবে ছয় সপ্তাহ ব্যাপী। প্রতি সপ্তাহে ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে তেল আবিবের কারাগার থেকে মুক্তি পাবে ফিলিস্তিনি বন্দিরা।