Image description

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান ঘোষণা করেছেন, আগামী সপ্তাহে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার এবং গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন ইসলামাবাদ সফর করবেন। সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা ও সমাধান খোঁজা।

আজারবাইজান সফর শেষে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান জানান, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্ক নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে চায়।

সুদানের চলমান সংঘাত প্রসঙ্গে এরদোয়ান বলেন, “আমরা দর্শক নই। সুদানে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে তুরস্ক তার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।” তিনি বলেন, “তুরস্ক কেবল দর্শক হয়ে থাকতে পারে না; শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা সবসময় এগিয়ে আসি।”

এরদোয়ান আরও জানান, তুরস্কের ভূমিকম্প আক্রান্ত অঞ্চল থেকে গাজায় কন্টেইনার পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, “গাজায় জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছানো শুধু সাহায্যের নয়, মানবতার প্রশ্ন।”

আজারবাইজানের কারাবাখ বিজয়ের পর দক্ষিণ ককেশাসে শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আর্মেনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রক্রিয়ায় তুরস্ক আজারবাইজানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করছে।

এছাড়া, তিনি জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান প্রকল্পে অগ্রগতি হয়েছে। এরদোয়ান আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।

সূত্র: আনাদোলু