মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান ইলহান ওমরকে ‘দেশ ছাড়তে’ বলেছেন। সোমালি বংশোদ্ভূত পরিচয়কে কেন্দ্র করেই তাকে উদ্দেশ্যে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
শনিবার মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘তার ফিরে যাওয়া উচিত’ (She should go back!)—যা তার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে বহুবার ব্যবহৃত পুরোনো আক্রমণের পুনরাবৃত্তি।
পোস্টটির সঙ্গে ট্রাম্প একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে ওমরকে এক জনসমাবেশে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। ভিডিওটি ঠিক কবে ধারণ করা হয়েছে তা পরিষ্কার নয়, তবে এটি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডানপন্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরছে।
ইলহান ওমর সোমালিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র আট বছর বয়সে গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে তিনি পরিবারের সঙ্গে কেনিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে চার বছর কাটান। ১৯৯৫ সালে তারা যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং ২০০০ সালে নাগরিকত্ব লাভ করেন।
ট্রাম্পের “মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (MAGA)” আন্দোলনের সহযোগীরা, যেমন লরা লুমারসহ অন্যরা, দ্রুত তার পোস্টটি নিজেদের সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এটি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে প্রথম নয় যে ট্রাম্প ওমরকে দেশ ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন। সেপ্টেম্বর মাসে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,
“আমি সোমালিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। আমি তাকে বলেছিলাম, হয়তো তুমি তাকে (ওমরকে) ফেরত নিতে চাও? তিনি বললেন, ‘আমি তাকে চাই না।’”
প্রথম মেয়াদেও ট্রাম্প একাধিকবার ওমরকে সমালোচনা করেছিলেন, এমনকি ২০২০ সালের নির্বাচনের শেষ মাসগুলোতে বলেছিলেন, তিনি “আমাদের কীভাবে দেশ চালাতে হবে তা শেখাচ্ছেন।”
ওমরের দপ্তর এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে শুক্রবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
“আমার কোনো দুশ্চিন্তা নেই। আমি জানি না কীভাবে তারা আমার নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে আমাকে দেশ থেকে বের করবে। কিন্তু এ নিয়ে ভয় পাই না। আমি আর সেই ৮ বছরের মেয়ে নই যে যুদ্ধ থেকে পালিয়েছিল। এখন আমি প্রাপ্তবয়স্ক, আমার সন্তানরা বড় হয়েছে। আমি চাইলে যেকোনো জায়গায় থাকতে পারি। প্রতিদিন এই ‘ইলহানকে দেশ থেকে তাড়াও’ কথাটা শুনে ওঠা সত্যিই অদ্ভুত।”