Image description
 

১৩ বছর ধরে হারিয়ে যাওয়া মার্কিন সাংবাদিক অস্টিন টাইস–এর খোঁজে এখনও হাল ছাড়েননি তার মা ডেবরা টাইস। ২০১২ সালের আগস্টে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের উপকণ্ঠে দারায়া এলাকায় কাজ করার সময় তিনি নিখোঁজ হন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩১ বছর।

 

অস্টিন টাইস একজন সাবেক মার্কিন মেরিন কর্পস ক্যাপ্টেন এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ছিলেন। তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, ম্যাকক্লাচি নিউজপেপার এবং সিবিএস নিউজ-এর জন্য যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রতিবেদন পাঠাতেন। টাইস সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিয়ে রিপোর্ট করছিলেন—এবং তার নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন পর অনলাইনে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, চোখ বাঁধা এক ব্যক্তিকে বন্দুকধারীরা ধরে রেখেছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায়নি, ধারণা করা হয় সেই ব্যক্তি টাইসই।

 
 

তারপর থেকে তিনি জীবিত না মৃত—তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিশ্বাস করে, টাইসকে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থা আটক করেছিল, যদিও সিরিয়া সরকার তা অস্বীকার করেছে।

অস্টিনের মা ডেবরা টাইস বছরের পর বছর ধরে তার ছেলেকে খুঁজে ফিরছেন। তিনি হোয়াইট হাউস, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং এমনকি দামাস্কাসে গিয়েও সিরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তার মতে, “আমি জানি আমার ছেলে কোথাও জীবিত আছে, আর আমি তাকে ঘরে ফিরিয়ে আনব।”

২০২৫ সালে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টাইস নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাকে খুঁজে বের করতে গোপন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও তার মুক্তির জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অস্টিন টাইসের গল্প আজ সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও যুদ্ধক্ষেত্রে নিখোঁজ সংবাদকর্মীদের প্রতীক হয়ে উঠেছে। তার মায়ের আশাবাদী কণ্ঠে এখনো প্রতিধ্বনিত হয় সেই প্রার্থনা।