যুক্তরাষ্ট্রে চার বছরের মেয়াদ শেষে বিদায় নিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । একইসঙ্গে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে ডনাল্ড ট্রাম্পের । তার সঙ্গে শপথ নেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স । সাধারণত উদ্বোধনী বক্তব্যটি দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল সাড়ে এগারোটায় (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে দশটা), রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে, মার্কিন আইনসভা ক্যাপিটল ভবনে । আর তার ঠিক আধঘণ্টা পর মধ্যাহ্নের সময় ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স শপথ নেবেন। তারপর হোয়াইট হাউসে চলে যাবেন ট্রাম্প ,যেটা হতে যাচ্ছে তার আগামী চার বছরের কর্মস্থল ও বাসস্থান।
ইতিমধ্যেই মেলানিয়া এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন । অন্যদিকে রবিবারই বাইডেন হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাবেন ।
তবে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন নতুন প্রেসিডেন্টের ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের সময় সশরীরে উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন । যদিও বাইডেনের অভিষেক অনুষ্ঠানে ডনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন না। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি মার্কিন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি বাইডেনের অঙ্গীকার।
এছাড়াও শপথ অনুষ্ঠানের অতিথির তালিকায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এতে অংশগ্রহণ করবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম।ডনাল্ড ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানালেও এখনো তার উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মোদিকে বন্ধু বলে অভিহিত করা ট্রাম্পের কাছ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ সবার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট শপথ অনুষ্ঠানের শীর্ষক অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত হলেও ব্যক্তিগত ব্যস্ততায় উপস্থিত হতে পারবেন না। এছাড়াও ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট। প্রযুক্তি জগতের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব ইলন মাস্ক ও মার্ক জাকারবার্গ আমন্ত্রিত এ অনুষ্ঠানে।
প্রেসিডেন্টের অভিষেকে প্রথাগতভাবেই সবিস্তার নিরাপত্তা পরিকল্পনা থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে , শহরের বেশিরভাগ অংশেই চলাচল আটকে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তা পরিকল্পনার নেতৃত্বে আছে সিক্রেট সার্ভিস, যাদের সাথে যোগ হয়েছে কয়েক হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য। আর অতিরিক্ত হিসেবে বিপুল সংখ্যক পুলিশ অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে ।এদিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার দু'দিন আগে ওয়াশিংটনের রাস্তায় বিক্ষোভ করলো হাজার হাজার মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নারী।
এ কর্মসূচির নাম দ্য পিপলস মার্চ, যা আগে উইমেন'স মার্চ হিসেবে পরিচিত ছিল। এটা ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত হয়ে আসছে।