দীর্ঘ দুই বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এখনো শান্তি ফেরেনি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও ইসরাইলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজা পুনর্গঠন ও রাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস নিয়ে সৌদি আরবের এক নতুন গোপন পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর মুসলিম দেশগুলো যুদ্ধ বন্ধে নানা উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবে ব্যর্থ হয়। বরং অনেক আরব দেশ পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চলে। শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হয়।
দুই বছরব্যাপী এ যুদ্ধে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা গাজা। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ, খাদ্যসংকট আর অবকাঠামোগত বিপর্যয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অঞ্চলটি। নিহত হয়েছে ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প ২০ দফা শান্তি প্রস্তাব দেন, যা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী উভয়ই মেনে নেয়।
সেই প্রস্তাবের অন্যতম শর্ত ছিল ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নিরস্ত্রীকরণ ও তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা। এবার সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে সৌদি আরব। মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রিয়াদ গোপনে এমন একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে যাতে গাজা থেকে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে সরিয়ে মার্কিনপন্থী ফিলিস্তিনি অথরিটিকে (পিএ) পুনরায় ক্ষমতায় বসানো যায়।
সৌদি পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গাজার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের দায়িত্ব ধীরে ধীরে পিএ-কে দেওয়া হবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য জরুরি সেবা, অর্থ ও কারিগরি সহায়তা দেবে সৌদি আরব।
তবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে অগ্রগতি না থাকায় ইসরাইলের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক স্থবির অবস্থায় রয়েছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখনো দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের ঘোর বিরোধী। তা সত্ত্বেও রিয়াদ ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন ধরে রেখেছে।