Image description

ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি করতে মস্কো রাজি না হওয়ায় সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্ধারিত বৈঠক। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “তৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্প ও পুতিনের কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা নেই,” যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরেগেই ল্যাভরভের মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়েছে।

ট্রাম্প গত সপ্তাহে বলেছিলেন তিনি শিগগিরই হাঙ্গেরিতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানের চেষ্টা করবেন। কিন্তু মস্কো কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়—দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়া দাবি করে আসছে যে ইউক্রেনকে পূর্ব দিকের অধিকাংশ অংশ হস্তান্তর করতে হবে।

ইউরোপীয় নেতারা স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ অক্টােবর) ওয়াশিংটনকে অনুরোধ করেছেন সরলভাবে যুদ্ধবিরতি ও বর্তমান লাইন অব কন্ট্যাক্টকে ভবিষ্যৎ আলোচনার ভিত্তি হিসেবে বজায় রাখতে চাপ দিতে।

রয়টার্স জানায়, ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটে মঙ্গলবার ওয়াশিংটন গেছেন। সেখানে তিনি স্থানীয় সময় বুধবার (২২ অক্টােবর) ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন—এতে ইউরোপীয়দের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি ও পরে শান্তি আলোচনা নিয়ে তাদের মনোভাব উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

ট্রাম্প গত সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করেন; এরপর তারা আলাস্কায় আগের বৈঠকে যে অগ্রগতি হয়নি, সেই কারণেই হাঙ্গারিতে আরও এক উর্ধ্বতন বৈঠক আশা করেছিলেন। কিন্তু রুশ পক্ষের অবস্থান পরিবর্তিত না হওয়ায় রুবিও-ল্যাভরভের হাঙ্গারিতে বৈঠকও স্থগিত করা হয়েছে।

ক্রেমলিন জানায়—সমাবেশের জন্য কোনো স্পষ্ট তারিখ নেই এবং “প্রস্তুতি” প্রয়োজন, যা সময় নিতে পারে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেন, প্রেসিডেন্টদের মধ্যে একটি বোঝাপড়া থাকলেও বৈঠক চূড়ান্ত হয়নি।

ইউরোপীয় কূটনীতিকরা মনে করছেন, রুশ দাবি পাল্টানো না হলে আমেরিকানরা কোনো বড় সমঝোতায় আগাতে চাইবে না।

এদিকে, বুদাপেস্টকে বৈঠকের জন্য নির্বাচন নিয়ে ইউরোপে বিতর্ক রয়েছে। কারণ হাঙ্গারির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান রাশিয়ার সঙ্গে আপেক্ষিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রেখেছেন। পুতিনকে বুদাপেস্টে যেতে হলে তিনি অন্যান্য ইইউ দেশের আকাশসীমা দিয়ে উড়বেন। 

পোল্যান্ড বলেছে, পুতিন যদি তাদের আকাশপথ ব্যবহার করেন, তবে তারা আন্তর্জাতিক ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তার বিমান নামতে বাধ্য করে তাকে গ্রেপ্তারও করতে পারে; অন্যদিকে বুলগেরিয়া বলেছে তারা পুতিনকে তাদের আকাশপথ ব্যবহার করতে দেবে।