Image description

যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের পর ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলো লুক্সেমবার্গসহ আরও কয়েকটি দেশ। জাতিসংঘ অধিবেশনের আগে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে লুক্সেমবার্গ, অ্যান্ডোরা ও মোনাকো। একইসঙ্গে ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং মাল্টাও ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের তালিকায় আরও পাঁচটি দেশ যুক্ত হলো। সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা জানান, এই সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচার, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের প্রতি আস্থার প্রতিফলন।

লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী এই পদক্ষেপকে “ঐতিহাসিক” আখ্যা দেন। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বীকৃতিটি শান্তি ও ন্যায়বিচারে তাদের বিশ্বাসের প্রতিফলন। বেলজিয়াম জানায়, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রতি দীর্ঘদিনের সমর্থনের অংশ হিসেবেই তাদের এই সিদ্ধান্ত।

এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “এটাই একমাত্র সমাধান যা ইসরায়েলকে শান্তিতে বসবাসের সুযোগ করে দেবে।” গাজায় চলমান হামলা ও মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্তকে জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ম্যাক্রোঁ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, সান মারিনো, মোনাকো ও অ্যান্ডোরাসহ সাম্প্রতিক দেশগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তার মতে, এই উদ্যোগ কার্যকর আলোচনার পথ খুলে দেবে। একইসঙ্গে আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে আহ্বান জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে।

তিনি আরও জানান, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত ও গাজায় আটক সব বন্দিকে মুক্তি দিলে ফ্রান্স ফিলিস্তিনে দূতাবাস খোলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণে প্রস্তুত থাকবে।

ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যোগ দেয়নি।

ঢাকাটাইমস