
ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) ভোরে জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে রাশিয়ার একটি জ্বালানি বহনকারী ট্রেন উড়িয়ে দিয়েছে। বিস্ফোরণে ট্রেনসহ পুরো রেললাইন ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনে রুশ দখলদারিত্ব নিয়ে গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান পেত্রো আন্দ্রিউশচেঙ্কো।
তিনি টেলিগ্রামে লিখেছেন, “হ্যাঁ, ট্রেনটি জ্বলছে। অধিকৃত জাপোরিঝঝিয়ায় আর কোনো রুশ রেলসেবা বেঁচে নেই। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী- ট্যাংকভর্তি মালবাহী ট্রেন পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। কিছুই বাকি নেই। রুশরা কেন রাতের আঁধারে জ্বালানি ও যানবাহন বহন করছিল- এটাই কারণ। ক্ষতি এড়াতে চাইলেও পারেনি। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক অনন্য অভিযান।”
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, দীর্ঘ ট্রেনের ডজনখানেক বগি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। ট্রেনটি জাপোরিঝঝিয়ার দক্ষিণাংশে উরোজায়নি ও তোকমাকের মাঝামাঝি স্থানে লাইনচ্যুত হয়। তবে কীভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে সে ব্যাপারে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য মেলেনি।
ইউক্রেন বা রাশিয়ার পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে ইউক্রেনীয় ড্রোন একই অঞ্চলে রাশিয়ার জ্বালানি বহনকারী আরেকটি মালবাহী ট্রেনে হামলা চালিয়েছিল।
সর্বশেষ এ হামলার আগের দিনই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জাপোরিঝঝিয়া নগরীতে অন্তত ৩ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়।
উল্লেখ্য, রুশ সেনারা ইতোমধ্যেই জাপোরিঝঝিয়ার বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নাকি প্রস্তাব দিয়েছেন জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনে যুদ্ধক্ষেত্র স্থিতিশীল রাখার, বিনিময়ে ইউক্রেন যেন দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক থেকে সেনা সরিয়ে নেয়।
অন্যদিকে, সোমবার (১৮ আগস্ট) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার আগের দিন ট্রাম্প আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে চলমান যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা নিয়ে আলোচনা হয়।
সূত্র : কিয়েভ পোস্ট