
গাজা সিটির ওপর পুরো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলি সরকারের পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফ্রান্স। শুক্রবার দেশটি সতর্ক করে দিয়েছে যে এটি সংঘাতের স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় অচলাবস্থার সৃষ্টি করবে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে এ ধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন এবং সম্পূর্ণ অচলাবস্থার দিকে পরিচালিত করবে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে এগুলো একটি কার্যকর, সার্বভৌম এবং সংলগ্ন রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তিতে বসবাসের ফিলিস্তিনিদের বৈধ আকাঙ্ক্ষাকে ক্ষুণ্ন করবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা ঘোষণার পর বিশ্বজুড়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়ে অবিলম্বে ইসরায়েলকে এই পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে চীন, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাতিসংঘসহ আরও অনেক দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎশ শুক্রবার (৮ আগস্ট) জানিয়েছেন, গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম আর ইসরায়েলে রপ্তানির অনুমোদন দেবে না তার দেশ। তিনি বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার অধিকার আছে, তবে গাজায় আরও কঠোর সামরিক পদক্ষেপ এই লক্ষ্য অর্জনকে আরও কঠিন করে তুলবে।
জার্মান পার্লামেন্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৩ মে পর্যন্ত ইসরায়েলকে ৪৮৫ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ফিনল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিনা ভালটোনেন বলেছেন, তিনি গাজায় আসন্ন দুর্ভিক্ষের কারণে ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’। ভালটোনেন বলেছেন, আমরা অবিলম্বে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তির আশা করি।
এদিকে, তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, গাজা সিটি দখলের এই সিদ্ধান্ত শান্তি ও স্থিতিশীলতার উপর একটি বড় আঘাত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই এই পদক্ষেপ প্রতিহত করতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।