Image description

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘাত প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত, তবে দুই দেশের মধ্যে রয়ে গেছে টান টান উত্তেজনা। এর মধ্যেই ভারতকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।

"ভারত যদি আবারও সামরিক অভিযান চালায়, তবে পাকিস্তান এবার তাদের মাটির গভীরে পাল্টা আঘাত হানবে,"—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট-এ গত ৩ আগস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই মন্তব্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় সামরিক বাহিনীর 'অপারেশন সিঁদুর'-এর প্রসঙ্গ টেনে পাকিস্তানের আইএসপিআর প্রধান জানান, ভারতের যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তান এবার আরও জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ চালানো হবে। তিনি স্পষ্ট করেন, "পাকিস্তানের সক্ষমতা রয়েছে ভারতের যেকোনো অঞ্চলে হামলা চালানোর।"

এই হুঁশিয়ারি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে লস্কর-ই-তৈয়বার শাখা সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার প্রেক্ষিতে ভারত গত ৭ মে চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।

ভারতের পক্ষ থেকে আগেই স্পষ্ট জানানো হয়েছে—দেশের মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী হামলা হলে, তার জবাব হবে পরিকল্পিত, শক্তিশালী ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত। সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোই হবে মূল লক্ষ্য।

এছাড়া, পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি নিয়ে ভারত সরকার জানায়, “পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যারা হামলা চালায় এবং যারা রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে—তাদের আমরা একইভাবে দেখব।”

চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার এই সাম্প্রতিক উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

শীর্ষনিউজ