Image description

নিষেধাজ্ঞায় পড়া ভারতীয় ছয় কম্পানি

১. আলকেমিক্যাল সলিউশনস প্রাইভেট লিমিটেড : এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ৮৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য আমদানির অভিযোগে অভিযুক্ত।

২. গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যালস লিমিটেড : এই কম্পানির বিরুদ্ধে জুলাই ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সময়ে ৫১ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি মিথানলসহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানির অভিযোগ আনা হয়েছে।

৩. জুপিটার ডাই কেম প্রাইভেট লিমিটেড : এই ভারতভিত্তিক কম্পানির বিরুদ্ধে জানুয়ারি ২০২৪ থেকে জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত ৪৯ মিলিয়ন ডলারের ইরানি টলুইনসহ পণ্য আমদানির অভিযোগ রয়েছে।

৪. রামনিকলাল এস গোসালিয়া অ্যান্ড কম্পানি : এই কম্পানি একই সময়ে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের মিথানল ও টলুইন আমদানি করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।

 

 

৫. পারসিস্টেন্ট পেট্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড : এই কম্পানি ইউএই-ভিত্তিক বাব আল বরশাসহ একাধিক উৎস থেকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ সময়কালে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলারের ইরানি মিথানল আমদানি করেছে।

৬. কাঞ্চন পলিমার্স : এই প্রতিষ্ঠানটি ‘তানাইস ট্রেডিং’ থেকে ১.৩ মিলিয়ন ডলারের ইরানি পলিথিনসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার পরিণতি কী?

নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, এই কম্পানিগুলোর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সব সম্পদ ও অর্থনৈতিক স্বার্থ জব্দ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বা মার্কিন নাগরিকদের পক্ষে এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন, পণ্য বা সেবা প্রদান নিষিদ্ধ, যদি না অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) থেকে বিশেষ অনুমোদন নেওয়া হয়।

 
এ ছাড়া, কোনো কম্পানি যদি নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত কোনো কম্পানির ৫০ শতাংশ বা তার বেশি মালিকানায় থাকে, তবে সেই কম্পানিও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য শাস্তি নয়, বরং সংশ্লিষ্টদের আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা।’

সূত্র : এনডিটিভি