
এবার আদালতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বাতিলকৃত তহবিল পুনরুদ্ধারে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থানীয় সময় সোমবার ফেডারেল বিচারকের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানানোর কথা। তারা দাবি করেছে, তহবিল পুনরুদ্ধার না করা হলে গবেষণা বিষয়ক কয়েকশ প্রজেক্ট হুমকির মুখে পড়বে। এর মধ্যে ক্যান্সার, সংক্রামক ও পারকিনসন রোগের চিকিৎসা বিষয়ক কয়েক’শ প্রজেক্ট অন্যতম। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, তহবিল বাতিলের পর থেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগ করেছে।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাব খুবই সহজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদিবিদ্বেষের কোনো জায়গা হবে না। আরও বলেছেন, আইন ভঙ্গ করা যাবে না এবং সাধারণ শিক্ষার্থীর নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। ইহুদি বিদ্বেষ প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ায় প্রথমে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বিষয়ক অনুদান বাতিল করেন ট্রাম্প। এরপর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়টিতে যাতে যোগদান না করতে পারেন সেই পদক্ষেপ নেন তিনি। হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার গত সপ্তাহে বলেছেন, জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্পের নেয়া পদক্ষেপের কারণে হার্ভার্ডের বার্ষিক ১ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হতে পারে। যার ফলে কর্মী ছাঁটাই ও নতুন কর্মী নিয়োগ স্থগিত করতে বাধ্য হবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি কাকে নিয়োগ দিয়েছে এবং এখানকার শিক্ষার্থী কারা সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে মাত্রাতিরিক্ত কর্তৃত্ব দেখিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সংস্কার চেয়ে একটি চিঠি দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে হার্ভার্ড।