Image description

মিয়ানমারে ড্রোন হামলায় আসামভিত্তিক বিদ্রোহী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) তিন শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। রোববার (১৩ জুলাই) একাধিক বিবৃতিতে তারা দাবি করে, ভারতের সেনাবাহিনী এই হামলা চালিয়েছে। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে।

উলফা জানিয়েছে, রোববার ভোরে মিয়ানমারে সংগঠনটির পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে সংগঠনের ১৯ জন নিহত ও আরও ১৯ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন উলফার লেফটেন্যান্ট কর্নেল নয়ন মেদ্দি, ব্রিগেডিয়ার গনেশ আসম এবং কর্নেল প্রদীপ আসম।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, হামলা চলে মধ্যরাত ২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত। মিয়ানমার সীমান্তসংলগ্ন নাগাল্যান্ডের লংওয়া থেকে অরুণাচলের পাংসাই পাস পর্যন্ত উলফার বেশ কয়েকটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে এসব ড্রোন হামলা চালানো হয়। সংগঠনটি দাবি করে, ভারতীয় সেনাবাহিনী ইসরায়েলি ও ফরাসি ড্রোন ব্যবহার করেছে। তবে ভারতের সেনাবাহিনী ফরাসি ড্রোন ব্যবহার করে না বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ভারতের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হামলার কথা অস্বীকার করে গুয়াহাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা কর্নেল এম এস রাওয়াত বলেন, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে এ ধরনের কোনো হামলার তথ্য নেই।’ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাও জানান, এ ঘটনায় আসামের পুলিশ বা রাজ্যের ভূখণ্ড ব্যবহৃত হয়নি।

১৯৭৯ সাল থেকে আসামের স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে আসছে উলফা। ১৯৯০ সালে সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে সংগঠনটির বেশিরভাগ নেতা আত্মগোপন করেন বাংলাদেশে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী উলফার ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। পরে অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া উলফার জেনারেল সেক্রেটারি অনুপ চেটিয়াকেও ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং তিনিও শান্তি আলোচনায় যুক্ত হন। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও আসাম সরকার উলফার সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে।

ইত্তেফাক