
জাপানে শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্কুল পরিষ্কার করা একটি সাধারণ অভ্যাস, শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে টয়লেট পরিষ্কার করা পর্যন্ত। এটি অনেককে অবাক করতে পারে, বিশেষ করে যেসব দেশে সাধারণত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সব পরিষ্কারের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু জাপানে, পরিষ্কার করা শুধু একটি কাজ নয়, তার চেয়ে অনেক বেশি-এটি দায়িত্ব, শৃঙ্খলা এবং শ্রদ্ধার একটি শক্তিশালী শিক্ষা।
জাপানের সব স্কুলে একটি শ্রেণিকক্ষ কর্তব্য ব্যবস্থা রয়েছে, যাকে জাপানি ভাষায় বলা হয় 'টোবান কাটসুডো'। স্কুল থেকে স্কুলে এই কার্যক্রম ভিন্ন হতে পারে, তবে সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ হলো পরিষ্কারের দায়িত্ব, যেখানে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ এবং অন্যান্য এলাকা পরিষ্কার করে।
১. পরিচ্ছন্নতা একটি মূল্যবোধ
জাপানি সংস্কৃতি কেবল শারীরিকভাবে নয়, নৈতিক ও আধ্যাত্মিকভাবেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দেয়। দেশটির অন্যতম ধর্ম শিন্তোবাদ, পরিচ্ছন্নতাকে পবিত্রতার এক রূপ হিসেবে দেখে।
২. কম বয়স থেকেই দায়িত্ববোধ তৈরি করা
শিক্ষার্থীদের তাদের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে দিলে তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ, মালিকানা এবং জবাবদিহিতার বিষয়টি তৈরি হয়, যা তাদের বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আরো ভালো মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে।
৩. অনেক স্কুলে নেই কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী
জাপানের অনেক স্কুলে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা দিনে অন্তত একবার একসঙ্গে কাজ করেন। এর ফলে দলগত কাজের অভ্যাস তৈরি হয় এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বাড়ে।
৪. জীবন দক্ষতা এবং চরিত্র গঠন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কেবল পরিচ্ছন্নতা নয়; এটি সময় ব্যবস্থাপনা, সহযোগিতা, নম্রতা এবং অধ্যবসায়ের মতো জীবন দক্ষতা শেখায়। তারা ছোট ছোট কাজ করেও কঠোর পরিশ্রম এবং মর্যাদার মূল্য শেখে।
৫. একটি শিক্ষা যা সারাজীবন থাকবে
ছোটবেলায় বা স্কুলে শেখা অভ্যাস এবং অভ্যাসগুলো আপনার সঙ্গে থাকে এবং আচরণকে প্রভাবিত করে। এই অভ্যাস কোনো কিছু ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে শ্রদ্ধা, বিভিন্ন কমিউনিটির ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা এবং আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার প্রতি সচেতন করে তোলে।
সূত্র : এনডিটিভি