
ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে নিহত সামরিক কমান্ডারসহ কমপক্ষে ৬০ জনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জানাজা দিয়েছে ইরান। তেহরানে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় জানাজা শুরু হয়। খবর আল জাজিরার।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, ‘শহীদদের সম্মানে জানাজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।’ টেলিভিশনে কালো পোশাক পরিহিত, ইরানি পতাকা হাতে লোকজনের ফুটেজ দেখানো হয়।
তেহরানের ইকিলাব স্কয়ারে এ জানাজা শুরু হয়। জানাজায় অংশ নেন হাজার হাজার শোকাহত মানুষ।

তেহরানের ইসলামিক ডেভলপমেন্ট কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের প্রধান মোহসেন মাহমুদি একে ইরান ও বিপ্লবের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জানাজা শেষে যে ৬০ জনকে দাফন করা হবে তার মধ্যে চার শিশুও রয়েছে।
শহীদদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের আর্মড ফোর্সেস এর প্রয়াত চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের চিফ কমান্ডার হোসেইন সালামি।
ইরানি কর্তৃপক্ষের দাবি, ইসরাইলের হামলায় ছয় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। এদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
১২ দিনের যুদ্ধবিরতির পর গত মঙ্গলবার ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। দুই দেশের মধ্যে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে।
এরআগে গত ১৩ই জুন ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরাইল।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, 'অপারেশন রাইজিং লায়ন' নামের ওই হামলার লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির 'মূলে' আঘাত।
হামলার জবাবে ইরানও 'ট্রু প্রমিস' নামের অভিযানে ইসরাইলের দিকে শত শত রকেট ও ড্রোন ছুঁড়েছে।