
একটি সংশ্লিষ্ট সূত্রের মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইরানি কর্মকর্তারা কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর আগে কাতার সরকারকে আগাম অবহিত করেছিলেন।
সূত্রটি জানিয়েছে, এই সমন্বয়মূলক পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল প্রাণহানির ঝুঁকি কমানো এবং উত্তেজনা হ্রাসের জন্য একটি ‘অফ-র্যাম্প’ (বিকল্প পথ) খোলা রাখা।
সিএনএনকে দেওয়া এক বক্তব্যে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মার্কিন হতাহতের খবর তাদের কাছে নেই।
কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সফলভাবে প্রতিহত করেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যদিও ইরান কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে হামলা করেছে, তবে এই হামলা কোনোভাবেই কাতার বা কাতারের জনগণের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করে না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরান কাতারের সঙ্গে তার উষ্ণ ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে তারা কাতারে অবস্থিত মার্কিন আল-উদেইদ বিমানঘাঁটির ওপর প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
তাসনিম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে একটি ক্ষেপণাস্ত্র অভিযানের সূচনা করা হয়েছে।