Image description

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের আকাশপথে ঝুঁকি বেড়েছে। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর বিমান চলাচলে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা দুবাই ও দোহার ফ্লাইট বাতিল করেছে।

বিশ্বজুড়ে বিমান চলাচলের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সেইফ এয়ারস্পেস জানিয়েছে, সরাসরি বেসামরিক বিমান চলাচলের বিরুদ্ধে এখনও কোনো হুমকি না থাকলেও ইরান পূর্বে হুমকি দিয়েছে যে, তারা সরাসরি বা হিজবুল্লাহর মতো গোষ্ঠীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সামরিক অবস্থানে পাল্টা হামলা চালাতে পারে। 

ফ্লাইট বাতিল ও বিকল্প রুটে গমন: 

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সংস্থা আমেরিকান এয়ারলাইন্স ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যে কাতার ও দুবাইগামী ফ্লাইট স্থগিত করেছে। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে দুবাই ও দোহাগামী ফ্লাইট বাতিল করেছে।

বিমান সংস্থাগুলো ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইসরায়েলের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে। পরিবর্তে উত্তরদিকে কাস্পিয়ান সাগরের ওপর দিয়ে কিংবা দক্ষিণে মিশর ও সৌদি আরব ঘুরে গমন করছে, যা সময়, জ্বালানি এবং ক্রু ব্যয় বাড়াচ্ছে।

ভবিষ্যৎ ঝুঁকি ও সতর্কতা

সতর্ক করে সেইফ এয়ারস্পেস জানিয়েছে, আকাশসীমা সংক্রান্ত ঝুঁকি কেবল ইরানেই সীমাবদ্ধ নয় বরং বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও এ ঝুঁকি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইউরোপ-এশিয়া রুটে বিকল্প পথের অভাব রয়েছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা বৈশ্বিক বিমান চলাচলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া সম্ভাব্য তেলমূল্য বৃদ্ধি বিমান পরিচালনা খরচ বাড়িয়ে দেবে, যা ভাড়াও বাড়াতে পারে।