
ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাতের আঁধারে দেশটির ফোর্দো, নাতাঞ্জ আর ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলা চালায়। আর এই হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করে অত্যাধুনিক বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান।
পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলজুড়ে বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুকে উদ্দেশ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি। এতে প্রায় ২৫ জন আহত হযেছে।
তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের সূচনা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ডেভিড ফিলিপস।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এ পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত উপদেষ্টা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন, বুশ ও ওবামা প্রশাসনে পররাষ্ট্রনীতি সংক্রান্ত উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি গবেষক হিসেবে কর্মরত।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফিলিপস বলেন, ‘ট্রাম্প বলেছিলেন কূটনৈতিক সমাধানের জন্য দুই সপ্তাহ সময় রাখা হবে। কিন্তু মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই সময় শেষ না হওয়ার আগেই হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে ৪০ হাজারেরও বেশি মার্কিন সেনা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।’
তিনি ইরানি জাতীয়তাবাদের গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘পারস্য জাতির সম্মানের গুরুত্বকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। ইরান এখন কেবল ইসরায়েলের কাছ থেকে নয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকেও সরাসরি হামলার শিকার হয়েছে। ফলে তারা প্রতিশোধ নিতে চাইবেই।’
ফিলিপসের মতে, ইরানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের লক্ষ্য হবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সেনাঘাঁটি, লোহিত সাগর ও অন্যান্য কৌশলগত মার্কিন স্বার্থ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি না, এ হামলা একবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এটি কেবল শুরু। এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘ উত্তেজনার সূচনা করতে পারে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ ধরনের আকস্মিক ও ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকে এমন এক সংঘাতে জড়াতে পারে যার পরিণতি বিশ্বব্যবস্থাকেও গভীরভাবে নাড়িয়ে দিতে পারে।
সূত্র : আল জাজিরা