
ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। শনিবার (২১ জুন) বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টার দিকে ইসরইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এমনটা জানিয়েছে।
টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে আইডিএফ। ইতোমধ্যে ইসরাইলিদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলার পাশাপাশি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যেসব এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ইতোমধ্যে সাইরেন বাজতে শুরু করেছে। তবে ইরান থেকে ঠিক কতটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে এবং ইসরাইলের কোথায় এগুলো আঘাত হানতে পারে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানায়নি আইডিএফ।
এদিকে নিজেদের ভূখণ্ডে ইসরাইলি বাহিনীর ‘আগ্রাসন’ বন্ধ হলে কূটনৈতিক আলোচনা বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে ইরান। শুক্রবার (২০ জুন) জেনেভায় ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনটা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।
একই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আলোচনা চালিয়ে যেতে তিনি ইসরাইলকে বিমান হামলা কমানোর জন্য চাপ দেয়ার সম্ভাবনা কম। ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এখনই সেই অনুরোধ করা খুব কঠিন।’
অন্যদিকে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রধান ইয়াল জামির বলেছেন, ‘বছরের পর বছর’ ধরে ইরানে হামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় ‘কঠোর গোপনীয়তা’ বজায় রেখে হামলার প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করা হয়েছে।
শুক্রবার ইরানে নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। অন্যদিকে ইসরাইলের হাইফাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আহত বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
ইসরাইল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান সর্বশেষ ২৫টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তবে এ হামলায় মধ্য ও দক্ষিণ ইসরাইলে কেউ আহত হয়নি।
অন্যদিকে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেছেন, ‘এই সংঘাতের বিস্তার এমন এক আগুন জ্বালাতে পারে, যা কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।